বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
ঈশ্বরদী, পাবনা প্র্রতিনিধি :
অনিয়ম আর দূর্নীতিতে ভরপুর ঈশ্বরদী থানাধীন পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর দাশুড়িয়া জোনাল অফিস। নতুন সংযোগে ভোগান্তি, ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল তৈরী, বিলিং সেকশনে জন ভোগান্তিসহ নানা অনিয়মে ভরপুর পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১। চলমান মুজিব বর্ষে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগকে ভূলুন্ঠিত করে জনমনে মুজিববর্ষে দেয়া স্লোগানকে (“শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”) প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ । পল্লী বিদ্যুতের আলোর ফেরিওয়ালার বিদ্যুতের ফেরি তাইতো বারং বার বুকের পাজর ভেঙ্গে দিয়েছে নতুন সংযোগ প্রত্যাশীদের। মুজিব বর্ষ পল্লী বিদ্যুতের সেবা বর্ষ হলেও গত তিন বছর ধরে টাকা জমা দিলেও অদৃশ্য কারনে পল্লীবিদ্যুত থেকে সংযোগ পায়নি উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বয়রা আশ্রয়ন প্রকল্পের ৮ টি পরিবার। জানাযায়, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের জন্য গত তিন বছর আগে মিটার প্রতি তিন হাজার টাকা হিসেবে মোট আটটি সংযোগের জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন মো. আতাউর রহমান, মো. খলিল, মো. ফরিদ মো. ফরহাদ মো. রাসেল মো. সাইফুল মো. আলামিন এবং মো. আজিজুর রহমান। টাকা পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ খুটি পুতে তাতে সংযোগ লাইন টানলেও হতভাগাদের ঘরে আজও জোটেনি বিদ্যুতের সংযোগ। সংযোগের জন্য একাধিকবার মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিলেও তাতে কর্ণপাত করেনি পল্লীবিদ্যুতের (দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের) কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অন্ধ মো. খলিলের স্ত্রী মোছা. জাহিরন বিবি বলেন, কারেন্টের ব্যাপারে আমরা ডিজিএম এর কাছে গেলি উনি কইচিলেন আপনেরা বাড়ি যান আগামী সোমবার আপনাদের ঘরে কারেন্ট জ্বলবি। কিন্তু তিন বছর গেলিও আমরা টেকাও পাইনি কারেন ও পাইনি। মো. আতাউর রহমান জানান, আমি পনোরো হাজার টাকা দিচি আইজ তিন বছর হলি, আমার ঘরে মিটার লাগাইচিলি তারপর কি জানি কারনে সেই মিটারও খ্যুলিলি চ্যলি গেছ। মো. আজিজুর রহমান জানান, আমি গরীব মানুষ, হাওলাত বাওলাত করে তারাতারি মিটারের জন্যি টেকা দিলাম কিন্তু এতদিন পার হলি পারেও আমরা বিদ্যুত পাইনি। মো. ফরিদ জানান, সাতদিনের মধ্যে লাইন দেয়ার কথা কয়ে আমাদের কাছথেকে টেকা লিয়ে পুল পুতল, তারপর মেলা দিন যাবার পর আমরা কারেন না পায়ে অফিসে যোগাযোগ করলি আমাদের কাচে আরো টেকা চাই। আমরা দিতি না পারায় আজো কারেন পায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, অভিযোগ কারীদের বিষয় এবং এই গুচ্ছ গ্রামের কথা আমার জানা নাই। তারা অফিসে কোন টাকা জমা দেননি। তারা যদি লাইনের জন্য আবেদন করেন এবং টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন তাহলে আমরা সাতদিনের মধ্যে সংযোগের ব্যবস্থা করব।