বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
তালুকদার রাসেল পাবনা:
চিনি ও খাদ্য শিল্পের একটি প্রতিষ্ঠান পাবনা চিনিকল। চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ১৫ টি চিনিকলের মধ্যে ৬ টি চিনিকল গত আখ মাড়াই মৌসুম ২০ – ২১ অর্থ বছরের আগ মুহূর্তে মাড়াই মৌসুম বন্ধের নির্দেশ দেয় চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন । এতে করে পাবনা চিনিকলসহ ৬ টি চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীরা চাকুরী থাকা না থাকা নিয়েই অনিশ্চয়তায় পরে যায়। এরপর বন্ধ মিলগুলো সচল করার জন্য শ্রমিক কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়। চিনি শিল্প করপোরেশন কতৃপক্ষ থেকে বলা হয়, মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তেই চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ৬ টি চিনিকল আখ মাড়াই মৌসুম বন্ধ করা হয়েছে। চিনিকলগুলো বন্ধ করা হয়নি। অবশেষে ৬ টি চিনিকল বন্ধ হলেও বন্ধ মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের সমন্বয় করে বিভিন্ন সচল মিলে বদলি করা হয়। বদলি হয়ে বন্ধ মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রাণ ফিরে পেলেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ কাটেনি অবসরপ্রাপ্ত চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের। এতে বিশেষ করে চরম অনিশ্চয়তায় পরে যায় বন্ধ মিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীরা । পাবনা চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অসহায় জীবন যাপন করছেন তারা মিলছেনা কাঙ্খিত অর্থ। তারা বলছেন, অবসর গ্রহণ করে বছরের পর বছর চলে গেলেও তাদের পাওনা টাকা এখোনো পরিশোধ করেনি চিনিকল কতৃপক্ষ। এতে ছেলে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা । তারা আরও বলেন, অবসর গ্রহণের টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও অর্থ মিলেনি। এমনকি অবসরের অর্থ পাওয়ার নির্দিষ্ট কোন আশ্বাস নেই চিনিকল কতৃপক্ষ, এবং চিনি শিল্প করপোরেশন, ও শিল্প মন্ত্রনালয় থেকে। তাই তারা চাকুরী জীবনের অর্জিত শেষ সম্বলটুকো অতি দ্রুত পরিশোধ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আকুল আবেদন জানায়। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের টাকা না পাওয়ার বিষয়টি পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফ উদ্দীন আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬৫ জন শ্রমিক কর্মচারী অবসর গ্রহণ করেছে। অবসরের কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। অবসরের বকেয়া রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। করপোরেশনের অর্থ সংকট থাকায় পুরো টাকা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পুরো টাকা দূত পরিশোধ করা উচিত । কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই। পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় আমরা পরিশোধ করতে পারছি না। বিষয়টি চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন ও শিল্প মন্ত্রণালয় অবগত আছেন। অবসরপ্রাপ্তদের অর্থ বরাদ্দ হলেই আমরা পরিশোধ করতে পারবো।