মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার বারহাট্টায় ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতার অপব্যবহার, এলজিএসপি, টিআর ও কাবিখাসহ ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত নানা খাতের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে উপজেলার ৪নং আসমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চন্দু’র বিরুদ্ধে সকল ইউপি সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। অনাস্থাপত্রটি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার রাতে বারহাট্টা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি জানান, আসমা ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, গত (২০ মার্চ) বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যেদের ডাকা এক জরুরি সভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান, হাফিজুর রহমান, হাসনা বেগমসহ ১২ সদস্য স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর জমা দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, আসমা (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম নিজস্ব লোকের মাধ্যমে পরিষদের বরাদ্দকৃত নলকূপের বিনিময়ে অর্থ বানিজ্য করেছেন। এমনকি গত ৬ মাস ধরে পরিষদের কোনো সভাও করেননি তিনি। এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং পরিষদের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের বিল-ভাউচার স্বাক্ষর করাচ্ছেন এবং সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণও করেন তিনি। আসমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে প্রকল্প এলে চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষকে প্রকল্পের সভাপতি করে কাজ করান। ভোটে নির্বাচিত সদস্য হওয়ার পরও আমাকে দিয়ে কোন কাজ করান না। বিল উত্তোলনের সময় সদস্যদের জোরপূর্বক বিলে স্বাক্ষর করান। নিজ এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও আমারা সব সদস্যই নিজ এলাকার কোনো উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারি না। কোনো প্রকল্প আমাদের দেন না, খারাপ আচরণ করেন। সম্পতি পরিষদের কক্ষে বসে আমরা সব সদস্য ইফতার করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেখান থেকেও তিনি আমাদের বের করে দেন। এমন আচরণের পর কেউ আর তাকে পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে চান না, সকলের দাবি তাকে অব্যাহতি দেয়া হোক। আসমা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য লিটন বলেন, আমরা অনাস্থা দেওয়ার পর বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বিষয়টি সমাধানের জন্য সময় নিয়েছেন। আগাকীকাল একটি শালিশ হওয়ার কথা রয়েছে। এ অনাস্থার বিষয়ে আসমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চন্দু বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। যারা অভিযোগ দিয়েছে তারাই প্রকল্পের সভাপতি সেক্রেটারি, তারাই টাকা আত্মসাৎ করেছে। তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগটি ভিত্তিহীন।
অভিযোগের ব্যাপারে বারহাট্টা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, অনাস্থার অভিযোগটি আমি পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।