সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কার্পাসডাঙ্গায় অবৈধ রায়সা ব্রীক্স ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, হুমকির মুখে পরিবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদায় উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় অবৈধভাবে প্রকাশ্যে রায়সা ব্রীক্স ভাটায় ইট তৈরিতে ব্যবহার বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে সম্প্রতি ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোনো জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। অথচ এসব অবৈধ রায়সা ব্রীক্স ইটভাটায় দিনের পর দিন অবাধে চলছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপন করার কথা থাকলেও সনাতন পদ্ধতিতেই এখনো চলছে।
এদিকে রায়সা ব্রীক্স ইটভাটায় সাংবাদিক প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ক্রেতা পরিচয়ে সায়সা ব্রীক্স ইটভাটা ঘুরে দেখা গেছে, ইট পোড়াতে বড় বড় গাছের গুড়ি জড়ো করা হয়েছে। ভাটায় কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, প্রতি চার লাখ ইট প্রস্তুত করতে ২০ থেকে ২২ দিন সময় লাগে। এতে প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর অভিযোগ সাংবাদিকে বলেন
,প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। যেন দেখেও না দেখার ভাব।
নির্দিষ্টভাবে ১২০ ফুট চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানোর নিয়ম থাকলেও দু’একটি ছাড়া কয়েকটি ইট ভাটা সেই নিয়মও মানছে না। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গাছ পুড়িয়ে ইট তৈরির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ইট ভাটা মালিক কর্তৃপক্ষ মালেক মিয়া।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন নিরব থাকায় ভাটা মালিক মালেক মিয়া কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোয় বেশি উৎসহ পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ফিট চুংগা আইন করে বাতিল করা হলেও আইনের তোয়াক্কা না করেই অবৈধ ইটভাটা মালিক কর্তৃপক্ষ তা ব্যবহার করছে। প্রতিদিন ইট ভাটায় হাজার হাজার মণ কাঁচা গাছ ভাটায় পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। এরই কারণে, ভাটা অঞ্চলের পরিবেশ দুষিত হলেও ক্ষমতার কারণে নিশ্চুপ ভুমিকায় এলাকাবাসী। রায়সা ব্রীক্স ভাটায় প্রতিদিন ১০/১৫ টি অবৈধ ট্রাক্টর ও স্ট্রেয়ারিং গাড়িতে কাছা গাছ ও মাটি টানায় রাস্তায় কাঁদা মাটি পড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ধুলা। রাস্তায় কাঁদা মাটি পড়ায় সড়ক দুর্ঘটনার মত মৃত্যু মুখী হচ্ছে সাধারণ লোকজন। কার্পাসডাঙ্গা, বাঘাডাঙ্গা,সুবলপুর, রঘুনাথপুর, এলাকার লোকজন জানান, এ ভাটার কারণে রাস্তায় বহনকৃত মাটি পড়ে তীব্র ধুলায় পরিণত হয়েছে। এতে সড়কে যাতায়াত অযোগ্য হয়ে পড়ে। আরও বলেন, এ ভাটার কারণে রাস্তার পাশে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার ধুলো গাছে পড়ায় বোঝাই যাই না এটা গাছ নাকি অন্য কিছু। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কোন ভাটায় গাছ পোড়ানোর বৈধতা নেই। যদি কোন ভাটায় গাছ পোড়ানো হয় তাহলে সে ভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।