মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীর কচাকাটা এলাকায় একটি গরুর খামার।মাস খানেক আগে ২৫ কেজির এক বস্তা গোখাদ্যের পাইকারি দাম ছিল ১ হাজার টাকা। এটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২২৫ টাকায়। ৩৫ কেজির ভুসির বস্তায় ২৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার প্রান্তিক খামারিরা। উপজেলায় দুধ উৎপাদনকারী খামার রয়েছে ৮ হাজার ৯৩২টি। গরু মোটাতাজাকরণের খামার রয়েছে ৭ হাজার ৮৫৯টি। উপজেলায় ছাগলের খামার রয়েছে ১ হাজার ৯৯১টি। এসব খামারের গবাদিপশুর জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হচ্ছে বিপুল পরিমাণের গোখাদ্য। খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক ও ছোট খামারিরা। উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। মাস খানিক আগে খুচরা পর্যায় ১ কেজি দানাদার গোখাদ্যের দাম ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা এখন সেই খাদ্যই কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। ভুসির কেজি প্রতি ৭ টাকা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধানের কুঁড়া কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, খুদ কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকায়। এ ছাড়া খৈলের দামও বেড়েছে। উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সাতানা গ্রামের খামারি মমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁর খামারে পাঁচটি দেশি এবং দুটি শংকর জাতের গাভি রয়েছে। প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার খাদ্য লাগত। এখন দাম বাড়ায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হচ্ছে। রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখাওয়া গ্রামের খামারি রেজাউল করিম জানান, ‘সব ধরনের খাদ্যের দাম বাড়ায় খামার করে আর লাভ হচ্ছে না। আমার খামারে সাতটি শংকর জাতের গাভি ছিল পাঁচটি বিক্রি করে দিয়েছি এখন ৩টি রয়েছে। আগে ৩ টির পেছনে প্রতিদিন ৬০০ টাকা খরচ হতো এখন ৮০০ টাকা লাগে।’ গোখাদ্য উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কচাকাটা এলাকার ডিলার নূর আলম সিদ্দিক জানান, সব কোম্পানির উৎপাদিত গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। এক মাসে কোনো প্রতিষ্ঠান দুবার আবার কোনো প্রতিষ্ঠান তিনবার দাম বাড়িয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আশিকুজ্জামান বলেন,দানাদারসহ সব ধরনের গোখাদ্যের দাম বাড়ায় খামারিরা অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। খামারে খরচ বাড়ায় অনেক খামারি গরু, ছাগলের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছেন। খামারিরা দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভর না করে ঘাস চাষ করলে বেশি লাভবান হবেন।