মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
আঃ খালেক মন্ডল,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাষ্ট্র স্বীকৃত জেলার প্রধান বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী গাইবান্ধাবাসীর আয়োজনে ১৬ জুলাই রোববার বিকেলে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সবাবেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন। প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা চত্ত¡রে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা পৗরসভার দু’বারের সাবেক কমিশনার নাজমা বেগম ও অনুষ্ঠানটি স ালনা করেন সনজীবন কুমার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে স্মারকলিপি প্রেরণ করা হবে, সেটি পাঠ করে শোনান ফাহমিদা চৌধুরী লুনা।সমাবেশে রাষ্ট্রস্বীকৃত জেলার প্রধান বধ্যভ‚মি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন মুক্তিযাদ্ধা রেজাউল বারী বকুল, শরাফ সরকার ও এমএ বাতিন, ঘাতক দালাল নির্ম‚ল কমিটি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ফাহিম রেজা নুর, সাপ্তাহিক প্রথম আলো স¤পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, প্রগ্রেসিভ ফোরামের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বাচ্চু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বধ্যভূমির উপর আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশ সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব কোনোভাবেই সুবিবেচনাপ্রসূত ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। প্রভাবশালী ও সুযোগ সন্ধানী মহলটি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে অশুভ পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ কালিমালিপ্ত হতে পারে।বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণœ করতেই এই অপচেষ্টা তাই নিউইয়র্ক প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রকল্পের জন্য বিকল্প জমি অধিগ্রহণ করে সেটি নির্মাণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহবান জানান। সবশেষে মহিতোষ তালুকদার তাপস ও মৈত্রয় দেবীর নেতৃত্বে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে “এ আগুনের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে” গানটি পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি গাইবান্ধার বধ্যভ‚মি সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক জিএম চৌধুরীর মিঠুর বক্তব্য দেয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, একই দাবীতে সম্পীতক ন্ধায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মানববন্ধন পালন করে।