বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
কয়েক মাস আগেও শ্রেণীকক্ষগুলোতে ক্লাস চলছিল। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কক্ষগুলো। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের একান্ত সিধান্তে হঠাৎই বদলে গেল শ্রেণীকক্ষগুলো। সেখানে এখন মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। ভাড়া দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়িদের কাছে। প্রত্যেকের কাছে নেওয়া হয়েছে কয়েক লাখ করে জামানতের টাকা। এভাবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। রংপুরের মিঠাপুকুরের শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষকে মার্কেটে রুপান্তর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের শুকুরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৪২ সালে স্থাপিত হয়েছে। দর্শনা লালবাগ-ভেন্ডাবাড়ি সড়কের ধারে শুকুরেরহাট এলাকায় এক নয়নাভিরাম জায়গায় বিদ্যালয়টির অবস্থান। সম্প্রতি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে এডহক কমিটি (অস্থায়ী) দিয়ে পরিচালনা হয়ে আসছে। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এই কমিটি বিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ দিতে পারবেনা এবং কোনো আর্থিক খরচ করতে পারবেনা। সড়কের পাশে বিদ্যালয়টির অনন্ত. ৫টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এই সুযোগে প্রধান শিক্ষক ও অস্থায়ী কমিটির সভাপতি মিলে ওই শ্রেণিকক্ষগুলোর দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর শ্রেণিকক্ষগুলো মার্কেটে রূপান্তরিত করা হয়। ১০টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শওকত আলী বলেন, ‘কিভাবে এই কমিটি বিদ্যালয়ের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করতে পারে? তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার আশায় এই কাজ করেছে বলে আমি মনে করি।’ একই কথা বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও অনেকে।
এ ব্যাপারে এডহক কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের স্বার্থেই মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। ভাড়া নিতে ইচ্ছুকদের কাছে জামানত নিয়ে সেই টাকায় মার্কেট করা হয়েছে, এতে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয়নি।’
প্রধান শিক্ষক সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কোনো ক্ষতি হোক, সেটা আমি কখনই চাইনা। যা কিছু করি, ভালোর জন্যই করি। কিছু কুচক্রি মহল পরিবেশ ঘোলা করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।’