রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, মহানগর সভাপতি ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, জ্বালানী তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে সরকার পতনের আন্দোলনে যাবে তার দল। সেক্ষেত্রে রংপুরের রাজপথ জাতীয় পার্টির দখলে রাখার ঘোষণাও দেন তিনি।
গতকাল বুধবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যের প্রতিবাদে রংপুর মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় পার্টি। মিছিল শেষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিটি মেয়র মোস্তফা আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি গণমানুষের দল। তাই গণমানুষের উপর যখন কোনো খড়গ নেমে আসে, দুর্ভোগের কারণ হয়, তার প্রতিবাদে আমরা সবসময় মাঠে থাকি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যে বিক্ষোভ এবং সমাবেশ আমরা করলাম, তাতে আপনারা দেখলেন হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। পথঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। লুঙ্গি পরা মানুষও মিছিলে এসেছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় এই সরকারের প্রতি মানুষের আর কোনো আস্থা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, জনগণের দাবি। সরকার পতনের আন্দোলন গণবিপ্লবে রূপ নিবে। তাতে নেতৃত্ব দিবে জাতীয় পার্টি। সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত আছে রংপুরের নেতাকর্মীরা। দেশের অন্য স্থানে কোন পরিস্থিতি বা কী হবে সেটা জানি না, তবে রংপুরের রাজপথে যেকোনো ধরনের আন্দোলনে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দখলে থাকবে।’ এজন্য তিনি সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগর ও জেলা জাতীয় পাটির আয়োজনে নগরীর সেট্রাল রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, মহানগর সভাপতি ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়কে উঠলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জাপা নেতাকর্মীদের সাথে এ সময় সাধারণ নগরবাসীও মিছিলে অংশ নেন। পরে পায়রা চত্বর, সুপার মার্কেট, সিটি বাজার, টাউন হল ঘুরে পায়রা চত্বরে সমাবেশ করে দলটি। এ সময় সিটি মেয়র ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আজমল হোসেন লেবু, জাতীয় আইনজীবি ফেডারেশনের বিভাগীয় আহবায়ক এ্যাড. মোকাম্মেল হক চৌধুরী, জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা যুব সংহতি সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রহিম বাবলু, জাতীয় পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ টিপু সুলতান রংপুরী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির রংপুর সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি ও রংপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ কাজলি বেগম, জাতীয় পার্টির রংপুর সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মাসুদুর রহমান মিলন, জাতীয় যুব সংহতির রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন কাদেরী শান্তি, জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির মহানগর কমিটির আহবায়ক ফারুক হোসেন মন্ডল, জাতীয় ছাত্র সমাজ রংপুর মহানগর সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফ প্রমুখ। এসময় জাতীয় শ্রমিক পার্টির রংপুর মহানগর সভাপতি রাজু আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক পার্টির রংপুর জেলা সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তোফা, জাতীয় মহিলা পার্টির রংপুর মহানগর শাখার সদস্য সচিব জেসমিন আক্তার, জাতীয় অটো শ্রমিক পার্টি রংপুর মহানগর সভাপত্বি তসলিম উদ্দিন প্রধান উচ্ছল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা মিলন, জাতীয় হকাস পার্টি রংপুর মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ মিঠু মিয়া, জাতীয় রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আকবর আলী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল রায়, জাতীয় ছাত্র সমাজ রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম ছোট্ট, ছাত্রসমাজ কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কামরানসহ রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা আরোও বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমাদের চাষাবাদে বড় প্রভাব পড়েছে। এ কারণে চাল, আটা, শাকসবজিসহ সকল খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।’ সারাদেশে লুটপাট-দুর্নীতি চলছে। অপরাধ প্ররবনতা বেড়েই গেছে। ‘সব কিছুতেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ। যাতে শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা না হয়, সেজন্য আগেই সরকারের সরে যাওয়া উচিৎ।’