বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট বগুড়া :
বগুড়া জেলার ধুনটে জমি নিয়ে বিরোধের দ্বন্দে মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাজেদা বেওয়া নামে এক অসহায় বিধবা । সে উপজেলার আনারপুর (দহপাড়া) এলাকার মৃত.মোজাম প্রামানিকের স্ত্রী।
রবিবার দুপুরে ধুনট সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। লিখিত ব্যক্তব্য তিনি উল্লেখ করেন , একই এলাকার মৃত আকীমুদ্দিনের ছেলে হোসেন আলীর নিকট থেকে আমার মেয়ে মোনেজা খাতুন আনারপুর মৌজার জে এল নং ৩৬, খতিয়ান ৫৯৪, ১৪১০ দাগের ৭.৫ শতাংশ জমি থেকে ২ শতাংশ জমি প্রায় ১২ বছর আগে ক্রয় করে পাকা ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিলো। পৃর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের দেলবার হোসেনের ছেলে বাদশা মিয়ার (৫০) সার্বিক সহযোগিতায় তার ভাই বেলাল হোসেন (৪৫), দুলাল মিয়া (৪৮) ও তাদের লোকজন প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি, অপহরণ ও গুম করার ভয়ভীতি প্রদান করে আসছে।
বেলাল হোসেন আনারপুর মৌজার জে এল নং ৩৬, খতিয়ান ৫৯৪, ১৪১০ দাগের অবশিষ্ট জমি ক্রয় করে নেয় এবং প্রতারণা করে আমার মেয়ের ক্রয় করা ২ শতাংশ জমিসহ ৭.৫ শতাংশ জমি খারিজ করে নিয়েছে। সে প্রতারাণামুলক ভাবেই তার আপন ভাতিজাকে ১৪/০২/২২ ইং তারিখে ওই দাগ হতে ২.৫ শতাংশ জমি বিক্রয় মূলে লিখে দেন এবং ১৫/০২/২২ ইং তারিখে আব্দুল আজীদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে ৫.৫ শতাংশ জমি লিখে দেন। তিনি খারিজ করা জমির পরিমানের চেয়ে বেশি জমি বিক্রি করেন ৮ শতাংশ। আমার মেয়ে বিষয়টা জানতে পেরে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। বিষয়টি নিয়ে ২ বার স্থানীয় ভাবে সালিশি বৈঠক করা হয়। সালিশি বৈঠকে তাদের জালিয়াতি ও প্রতারনা মূলক কার্যক্রম প্রকাশ পায়। তখন এলাকার মুরুব্বীগন উভয় পক্ষ কে কাগজপত্রাদী উঠানোর জন্য ১ মাস সময় দেয়। উল্লেখিত সময়ের আগেই বিবাদীগন কিছু ভাড়াটিয়া দালাল, বাটপারের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
আমি ও আমার মেয়ে এবং স্বজনরা রাজি না হওয়ায় গত ২৯/০৩/২২ ইং দিবাগত রাতে সকল বিবাদী গন একত্র হয়ে যোগ সাজসে তাদের ভিতরে সোহেল রানার পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা বেড়া তারা নিজেরাই ভেঙ্গে এলাকায় আমার ও আমার মেয়ের ছেলে পুলিশ সদস্য মোস্তফা কামাল এবং আত্মীয় স্বজনদের নামে মিথ্যা বদনাম করে এবং সেই ভাঙ্গা টিন দিয়েই নিজের হাত কেটে আমার এবং আমার মেয়ের ছেলে পুলিশ সদস্য মোস্তফা কামাল ও আমার আত্মীয় স্বজনকে মিথ্যা ভাবে ফাসানোর জন্য ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়এবং থানায় মামলা করে। উল্লেখিত ঘটনার দিন ২৯/০৩/২২ তারিখে আমার মেয়ের ছেলে দিনাজপুর কয়লাখনি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। সে উক্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো না। উহা জানা সত্বেও বিবাদীগন আমি, আমার মেয়ে, আমার মেয়ের ছেলে পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রী নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য উম্মে হাবিবা মলির সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য মামলার মিথ্যা আশ্রয় নিয়েছেন। যাতে আমরা ভয়ে বিবাদীগনের কথায় উঠা বসা করি। তাই আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি সুষ্ঠভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।