বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এম.জে সুলভ খান, পাবনা :
পাবনা চাটমোহর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত সানোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ ইসমাইল হোসেন গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে নিখোজ হন। ২৭ ফেব্রুয়ারী একই উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধুলাউরি গ্রামের ভুট্রা খেতে একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তির অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইসমাইলের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মতেজা ও মা মোছা: নাজমা খাতুন ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোজ ইসমাইলের লাশ সনাক্ত করে। এরপর নিহত ইসমাইলের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন বাদী হয়ে ওই দিন চাটমোহর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশের তদন্তে আসামী চাটমোহর উপজেলার হরিপৃুর ইউনিয়নের ধুলাউরি গ্রামের মোঃ আরদোস আলী মৃধার ছেলে রবিউল করিমকে ঢাকা মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রবিউল করিম পুলিশকে জানায়, নিহত ইসমাইলের স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাহমুদা খাতুনকে বিয়ে করার জন্য সে ইসমাইলকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনায়, নিহতের মোবাইল ফোন ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রবিউল করিম ইসমাইল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। তবে ইসমাইল হত্যাকান্ডের সাথে নিহতের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মতেজার সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ।
এদিকে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়া থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী রাতে ট্রাক ভর্তি ২০৮ বস্তা হলুদ ছিনতাই হয়। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়। মামলার সুত্রধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে লুন্ঠিত হলুদ ও গাজিপুর থেকে ছিনতাই হওয়া ট্রাক উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ ৮হাজার ,৪শ কেজি হলুদ যার মুল্য বাইশ লাখ টাকা. একটি ১৫ টনি টাটা ট্রাক যার মূল্য অনুমান ২০ লাখ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আসামীদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ৩টি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানার মেলাগাছি গ্রামের মোঃ মোবাইল আলীর ছেলে মোঃ হালিম মিয়া চুকা চিকু (৪০), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার দেওড়া গ্রামের মোঃ মফিউদ্দিনের ছেলে মোঃ রিপন মিয়া(৩২) ও জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার চরশিশুরা গ্রামের মোঃ মোজাহাক ফকিরের ছেলে মোঃ বেল্লাল ফকির (৩৫)। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা সমগ্র বাংলাদেশে স্থানীয় এজেন্ট দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে এবং অভিনব পন্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতির মাধ্যমে মালামাল লুট করে থাকে।
হত্যা ও ডাকাতির রহস্য উদঘাটন এবং আসামী গ্রেফতারের ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলমসহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ।