বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
বেড়া, পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার বেড়া উপজেলার পানি সেচের প্রবেশদার বেড়া পাম্প হাউজের সরকারি জায়গাই প্রায় একশটি গাছের আম বিক্রির লাখ লাখ টাকা সহকারি প্রকৌশলী রমেশ মন্ডলের পকেটে যাচ্ছে গত একযুগ ধরে। স্থানীয় সৃত্রে জানা যায় বহুপুরাতন প্রতিষ্ঠান বেড়া পানি উন্নয়নের আওতায় বেড়া পাম্প হাউজে সেখানে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডেকেট। তাদের প্রধান হলেন, সহকারি প্রকৌশলী রমেশ বাবু। তার সহকর্মী কবির আহমেদ। তার বাড়ি বৃশালিখা গ্রামে। বাবার নাম সবিল।গত ২ বছর আগে বেড়া পাম্প হাউজে যোগদান করে। যেহেতু সে স্থাণীয়, সেহেতু তার ক্ষমতার দাপট রয়েছে। বেড়া পাম্প হাউজ তার নিয়ন্ত্রনে। সে পাম্প হাউজের জলাশয় থেকে অবৈধ ভাবে বোয়াল, রুই, কাতলা মাছ শিকার করে। শুধু তাই না পাম্প হাউজের তেল চুড়ির অভেোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই কবিরের সাথে মাঝে মধ্যেই এলাকার মানুষ জনের সাথে মারমারিসহ বাকবিতন্ডা হয়ে থাকে। রমেশ বাবুর অবহেলায় সেখানের স্পিড বোড ইন্জিল চালিত যান বোড নষ্ট হচ্ছে, যার মুল্য প্রায় কোটি টাকা। সব কিছু রমেশ ও কবিরের ছত্রছায়ায় চলছে । সাধারন মানুষের পাম্প হাউজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার আত্বীয় স্বজন সেখানে যাতায়াত করে থাকে। তাদেরকে দিয়ে নানা অপকর্ম করান এই কবির। শুধু তাই না বেড়া পাম্প হাউজে জলাশয়ে নিজেদের লোকজন দিয়ে মাছ শিকার করান এবং তাদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহন করে থাকে। এলাকাবাসি একজন জানান কবিরের সাথে এলাকার চোর ডাকাতদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে । তার বাড়িতে তল্লাশি করা হলে, পাম্প হাউসের অনেক কিছু পাওয়া যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পাম্প হাউজের চাকরিজীবী জানান, বেড়া পাম্প হাউজে যা কিছু হচ্ছে কর্তৃপক্ষ নজর রাখে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ নজরে নিলে অনেক গোপন রহস্য বের হয়ে আসবে। পাম্প হাউজের উত্তর দক্ষিনে পাশে সেখানে কোটি কোটি টাকার মালামাল ছিল, যেমন নতুন পুরাতন ছোট বড় গাড়ি সহ যন্ত্রাংশ ছিল। কোটি টাকার ক্যারেন, তামা, লোহা, ট্রাক ছিল সে গুলো এখন সেখানে নেই। ওসব মালামালের কোন হদিস নেই। পৃর্বের পাম্প হাউজ আর এখনকার পাম্প হাউজ সেই আগের মত নেই। গাছের আম বিক্রির লাখ লাখ টাকা কোথায় যায় তাহা কারো অজানা নেই । বেড়া বনগ্রামের একজন আম ব্যবসায়ি বলেন আমি একযুগ হল রমেশ বাবুর নিকট হতে আম ক্রয় করি। শুধু তাই না আম, জাম, পেপে, লেবু, পেয়ারাসহ অনেক ফল পাওয়া যায়। সেখানে সব টাকা পয়সা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তাদের পকেটে যায়। কবির নিজেও অনেক যন্ত্রপাতি বেআইনিভাবে বিক্রি করে, সে ওই পাম্প হাউজের বড় অফিসার হয়েছে। এসব দুনীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপকর্ম তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাম্প হাউসের উর্ধবতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেন এলাকাবাসী। এদিকে রমেশ বাবুর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি নিউজ না করে সরাসরি দেখা করতে অনুরোধ করেন।