এম মনিরুজ্জামান, পাবনা:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে। যে কোন ভাবেই প্রতিপক্ষের উপর, সাধারণ মানুষের উপর,অন্য দলের নেতাকর্মী সমর্থকের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা করা যাবে না। যারা অন্যায়কারী তাদের উপর আইনগত ব্যবস্থা হবে, দলের যারা আদর্শিক নেতাকর্মী তারা এগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। সব দলের মত আমাদের দলেও কিছু সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী নেতা কর্মী রয়েছে,তারা দলের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত সৃষ্টি করছে। এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনি প্রতিষ্ঠার সময়েই ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন এবং হ্যাঁ না ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেই ১৯ দফা সাথে দলের ভারপ্রাপ্তের চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, এ দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, ভোটের অধিকারের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, ১৯ দফা ও ৩১ দফা অনুযায়ী দল পরিচালিত হচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগ করেছে তারা নব্বই পার্সেন্ট মানুষ এলাকায় বসবাস করছে, কয়েক পার্সেন্ট লোক এলাকা ছাড়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আমাদের ডেকেছিলেন, সেখানে তিনি বাস্তব কিছু কথা বলেছেন, তিনি তার কথাগুলো বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলেছেন, দলের নেতা কর্মীদের কথা বলেছেন, এই কথাগুলো বলে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, এই যে এতগুলো মানুষের ত্যাগ, এতগুলো মানুষের কষ্ট, এতগুলো মানুষের জীবনের একটি অংশ, এই সকল ভেদাভেদ, সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়ে, আগামী দিনে ভালো থাকার জন্য সবাইকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। মুষ্টিময় দুই একজনের স্বার্থের বলি দল হতে পারে না। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন, দলের মধ্যে যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে, তাদের দল করার কোন অধিকার নেই। এ ব্যাপারে আমাদের ও সতর্ক থাকতে হবে। যে কাজগুলো আওয়ামী করেছে বা তাদের দোসররা করেছে সেই কাজটি যদি আমরা করি তাহলে তাদের আর আমাদের পার্থক্য কোথায়। বিএনপি’র মূল শক্তি হচ্ছে তৃণমূলের খেটে খাওয়া মানুষ, তারা সুখে শান্তিতে থাকতে চায়, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়, এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আজকে আমাদের দল নিয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে। এক সময়ে আমাদের সাথে থাকা একটি দল যারা আমাদের সাথে ছিল, তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এই জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূল থেকে শুরু করতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়া মোকাবেলা করতে হবে,সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে। দেশের গণতন্ত্র,মানুষের ভোটের অধিকার এবং একটি সাম্যর বাংলাদেশ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান গত ১৯ বছর নির্বাসনে থেকে দলের হাল ধরে রেখেছেন। যুবদল, ছাত্রদল, জাতীয়তাবাদী দলের মূল শক্তি, সত্যকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব। মঙ্গলবার সকালে পাবনার সুজানগর উপজেলা ও পৌর যুবদলের আয়োজনে, আলোচনা সভা,কেক কাটা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা টি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডাকবাংলোয় সামনের বালুর মাঠের অ্যাসেম্বল সেন্টার আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টু’র সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রিয়াজ মন্ডলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল মোনায়েম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির শেখ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিউল আলম বাবু প্রমুখ। বিএনপি নেতা আহমেদ আলী লাটু প্রামাণিক, নাদের হোসেন, যুবনেতা রাশেদুল ইসলাম,আবু জাকারিয়া তরঙ্গ, মনিরুজ্জামান মনি, পৌর যুবদলের সদস্যসচিব ফজলুল হক,ছাত্র নেতা গাজী মাজহারুল ইসলাম, সাকিবুল ইসলাম, আফতাব হোসেন সহ উপজেলা বিএনপি, যুবদল , স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।