বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানরীর নওদাপাড়া টার্মিনালের সড়কটির একেকটি গর্ত যেন মরন ফাঁদ! কনক্রিটের কার্পেটিং উঠে রূপ নিয়েছে ছোট বড় খালে। চলাচল করতে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। ঘটছে দুর্ঘটনাও। যদিও সিটি করপোরেশন বলছে, করোনার অজুহাতে সড়ক সংস্কারে হাত দেওয়া যায়নি।
চকচকে ও প্রশ্বস্ত সড়কের জন্য দেশজুড়ে খ্যাতি কুড়িয়েছে রাজশাহী নগরী। অথচ এর আড়ালেই রয়েছে ভাঙাচোরা সড়কে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের চিত্র। নওদাপাড়া টার্মিনাল থেকে নাটোরমুখী বিভিন্ন রুটের বাস চলাচলের জন্য বারোরাস্তা-ভদ্রা সড়কটিই নির্ধারিত। কিন্তু বর্ষায় মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কের কমবেশি পুরোটাই এখন জলমগ্ন।সড়কটি দেখে বোঝা কঠিন-এটিই এক সময় পাকা ছিল। পুরো কার্পেটিং উঠে মাটি বেরিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমেছে। আবার কোথাও তারও বা বেশি। ফলে চালক ঠিক বুঝতে পারেন না কোন গর্তে কতটুকু পানি। এরকম পরিস্থিতিতে আন্দাজ করেই গাড়ি চালাতে হচ্ছে। গেল ২০ বছর ধরে এ সড়কটি সংস্কারে হাত দেয়নি সিটি করপোরেশন। সড়কটি সংস্কারে বিভিন্ন সময়ে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক সমিতির নেতারা সিটি মেয়রের কাছে দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। মাঝেমধ্যে কোনো জায়গায় রাবিশ ফেলেছে নিটি করপোরেশন। কিন্তু এখনো চলাচলের অযোগ্য।
সড়কে নিয়মিত বাস চালান আনিস। তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি নামালেই ভয় লাগে। যে কোনো সময় গাড়ি উল্টে যেতে পারে। কোনো উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। বাসের হেলপার আবু সাঈদ জানান, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। ২-৩ দিন পর গাড়ির যন্ত্রপাতি ভেঙে যায়। দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু কে দেখবে এসব!
এদিকে মধ্যনগরীতে চলাচলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সাগরপাড়া থেকে টিকাপাড়া সড়ক। এ সড়কটির অবস্থাও নাজুক। বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে গর্তে। সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে পানি। রিকশায় চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান বলেন, সড়কটিতে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে। কিন্তু ভাঙাচোরার কারণে সহজে রিকশাও চলতে চায় না এ সড়কে। দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে রিকশা এলেও ভাঙা দেখে আর এগোয় না। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
আরডিএ কর্তপক্ষ বলছে, রাস্তাটি আমরা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেছি। টেন্ডাও হয়েছে। বর্ষার কারনে কাজ শুরু হয়নি। তবে শিঘ্রই এই রাস্তাটির কাজ শুরু হবে।
তবে সিটি করপোরেশনের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, নগরীর বিভিন্ন সড়কের অবস্থা খারাপ আছে। মেয়রের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নগরীর বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিন্তু করোনা ও দীর্ঘসময় ধরে বর্ষার কারণে সংস্কারকাজ শুরু যায়নি। আশা করছি, শিগগিরই কাজ শুরু হবে।