বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আব্দুস সালামকে (৫০) হত্যার মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও এক বছর জেল।
দন্ডপ্রাপ্ত চার যুবক হলেন: রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার বাজেকাজলা মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার ভাড়াটিয়া দিলদার আলীর ছেলে নূর নবী হোসেন ওরফে হৃদয়, কাজলা বিলপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সানোয়ার হোসেন ওরফে সাইমুন ওরফে এসএম সায়েম এবং কাজলার মৃত ইসহাক আলীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে সোহেল।
আসামিদের মধ্যে নূর নবীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমজীবন গ্রামে। আর সোহেল রানার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুন্ডুরিয়া গ্রামে। সোহেল রুয়েটের দৈনিক মজুরিভিত্তিক নৈশ্যপ্রহরী ছিলেন। সোহেলই ছিলেন এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় আরও দু’জন কিশোর আসামি আছে। তাঁদের বিচার চলছে শিশু আদালতে। অন্য চার আসামির বিচার শেষ হলো। এ রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ রায়ে তিনি খুশি বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
মামলার বাদি আব্দুস সালামের ছেলে পশাল জানান, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিলো সর্বোচ্চ শাস্তির। কিন্তু আদালত যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছে। আমরা এই রায়ে পুরোপুরি সন্তষ্ট নয়।’
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুয়েট সংলগ্ন অগ্রনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর বাসচালক আব্দুস সালামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সালামের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চারদিন পর এক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়। ওই কিশোর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেয়। পরে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিলেন। অন্য দুই কিশোর আসামির বিচার চলছে শিশু আদালতে।