রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
রংপুর নগরীর বাস টার্মিনাল, আলমনগর, বিসিক শিল্প নগরী, ডিসি অফিস, মুন্সিপাড়া, মর্ডাণ মোড়, রংপুর মেডিকেল কলেজ, মাহিগঞ্জ বাজার, কলেজপাড়া, শাপলা চত্তর, পায়রা চত্তর, দেওয়ানবাড়ি রোড, তাজহাট রাজবাড়ি, রংপুর রেলস্টেশন ও কামাল কাছনা এলাকায় শব্দ দূষণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। জরিপের ফলাফলে রংপুরে শব্দ দূষণমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও দিন দিন দূষণ মাত্রা বেড়ে চলেছে। এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে আগামীতে রেডজোনের আওতাধীন হবে রংপুর নগরী। মঙ্গলবার সকালে রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আয়োজনে এক সভায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। সভায় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৬৪ জেলা শহরে শব্দের মাত্রা পরিমাপ বিষয়ক জরিপ কার্যক্রমের টিম লিডার অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব রহমান। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন শব্দ দূষণ জরিপের মাঠ কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাছির আহমেদ পাটোয়ারী।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের পর থেকে নগরীতে ভবন নির্মাণের কাজ বেড়েছে। সেখান থেকে শব্দ দূষণ হচ্ছে। যানবাহনের কারণে শব্দ দূষণ, বিশেষ করে অটোরিক্সার কারণে শব্দ দূষণ বেশি হচ্ছে। মতবিনিময় সভায় সচেতনতার অভাবে মানুষ অকারণে হর্ণ বাজানো, উঠতি বয়সী ছেলেদের মোটরসাইকেলে হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানো, সমাবেশ-নানা ধর্মীয় আয়োজনে অত্যাধিক মাইক বাজানোসহ রংপুরে শব্দ দূষণের নানা উৎস চিহ্নিত করা হয়।