বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শেখ মো.ইব্রাহীম, সরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার মলাইশ-শাহজাদাপুর ৩ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় সীমাহীন জনদুর্ভোগে দুই হাজার পরিবার। স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ২০ সহশ্রাধীক লোক। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে কাদায় ভরা থাকে। রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয় এক চালকের গাড়ি অন্য চালক, যাত্রীসহ গাড়ির পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার কাঁচা অংশ পার করে এ যেন নিত্যদিনের দৃশ্য। ভগ্নদশা রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যানবাহনের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকটা ইঞ্জিনের শক্তি দিয়ে যুদ্ধ করেই যাচ্ছেন চালকরা। আবার কাদায় আটকে যাচ্ছে যানবাহন। চালকের সঙ্গে নিরুপায় যাত্রীরাও। ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা নিত্যদিন চলাচল করছে। সেই সঙ্গে চলছে শত শত সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন।
শাহজাদাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মামুন খান বলেন, মলাইশ থেকে শাহজাদাপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি বেহাল থাকায় এলাকার জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভগ্নদশার কারণে পায়ে হেঁটে চলাচল করাই খুব কষ্টকর। রাস্তাটি অসংখ্য খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আধা ঘণ্টার দূরত্বের পথ ১ ঘণ্টা লাগে। অটোরিকশার যাত্রীরা চলাচল করতে গিয়ে গর্তে পড়ে যানবাহন উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়িতে লাশ নিয়ে যাওয়ার কষ্টও সীমাহীন। এরপর বছরে প্রায় সাত মাসই পানি থাকে খোয়ালিয়ার খালে। এখানের সেতু ও রাস্তার স্বপ্ন দেখেই সময় পার করছেন ওই জনপদের মানুষগুলো।
অটোরিকশা চালক সিরাজ মিয়া বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চালাতে খুবই ভয় করে। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে পড়ছে। তা আবার মেরামত করতে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। গাড়ির চাকা গর্তে আটকে যায়। একদিন গাড়ি চালালে পরদিন আর চালাতে ইচ্ছা করে না।
শাহজাদাপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাম মিয়া বলেন, মাত্র ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার জন্য শাহাজাদাপুর, দেউড়িয়া ও নেয়ামতপুর-এই তিন গ্রাম এখনো পিছিয়ে আছে। আধুনিক যুগে বাস করেও এই তিন গ্রামের মানুষ জরুরি ভিত্তিতে কোনো রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে পারে না। কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে দূরের বাজারে যেতে পারে না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি অসংখ্য খানাখন্দে আর বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের রাতদিন হাসপাতালে নিয়ে যেতে চরম অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে রাস্তার বেহাল অবস্থাও বাড়ছে। ফলে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই জরাজীর্ণ রাস্তায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দ্রæত সংস্কার করে দুর্ভোগ লাঘব করবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা(এলজিইডি) প্রকৌশলী মোছাঃ নিলুফার ইয়াছমীন বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।