শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ:
স্বৈরাচার পতনের এই মহা সময়ে দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা, কৃষক, শ্রমিক ও সর্বস্তরের মানুষের অবদানকে যদি আমরা মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে ১৬ বছরের স্বৈরাচারী হাসিনার গুম, খুন, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার জনতার অবদানকে যদি স্বীকৃতি দিতে না পারি, তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি আরো বলেন, জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকারই কেবল জনগণের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও দেশে উন্নয়নের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে। এই সরকারের প্রতি সেদিনও আমাদের সমর্থন ও আস্থা ছিল, আজও আছে।
আমাদের আস্থাকে প্রশ্নহীন রাখার চ্যালেঞ্জ কিন্তু তাদেরকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে বিএনপির গণসমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপ নির্দিষ্ট করতে হবে। সব পরিবর্তন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরও আমরা বলতে চাই তাদের যে মূল দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। স্বৈরাচারী সরকারের ফেলে যাওয়া দলবাজ উচ্ছিষ্ট প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্রের কাছে এ সরকার মাঝে মধ্যে অসহায় বোধ করছে। তাদের এই ছোট ছোট ষড়যন্ত্র এক সময় মহাবিপদ ডেকে আনবে। তাই তাদের অপসারণ করতে হবে। আমাদের সেই প্রতিজ্ঞা নিতে হবে, বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে একটি স্বাভাবিক মঞ্চে। যা দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। দলমত নির্বিশেষে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে। প্রতিটি শিশু, প্রতিটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তা ও শিক্ষাগ্রহণের যে গ্যারান্টি চায়, প্রতিটি কৃষক তাদের অবদানের যে স্বীকৃতি চায়, এই সব কিছু সরকার গঠনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তারেক রহমান দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে তার বক্তব্য শোনার জন্য ঝিনাইদহের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, আমরা আন্দোলন করে, সংগ্রাম করে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। আমরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করি। আসুন আমরা বৈষম্যহীন সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ হই। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় নিহত ঝিনাইদহের সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিবুল হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এ গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব রনক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোমেনুজ্জামান সোমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক সহ স্থানীয় সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে হাজার হাজার জনতা ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরে বিএনপির গণসমাবেশে উপস্থিত হন।