মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট বগুড়া:
শুক্রবার (১৩মে) বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নে, বৃহস্পতিবার (১২মে) রাতের আঁধারে তাৎক্ষণিকভাবে ধুনট এ এ উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে টিন দিয়ে দোকানপাট এর স্থাপনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্জয় কুমার মহন্ত ভেঙে দিয়েছেন।
সরজমিন বিস্তারিত জানা যায়, ধুনটের গোসাইবাড়ী ঐতিহ্যবাহী এ এ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ফকির পাড়া মোজাফ্ফরের ছেলে ফজলুর রহমান টিনের দুইটি ঘর বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে নির্মাণ করেন। জনগণের এমন খবর পেয়ে ধুনট উপজেলার নির্বাহী অফিসার সন্জয় কুমার মহন্ত ও সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ বরকত উল্লাহ এক অভিযান চালিয়ে এ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। উচ্ছেদ এ অভিযানে যেয়ে নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার জন রোষানলে পরেন। জন রোষানলের ধকল কাটিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যান তারা। জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায় এ দুটি ঘর নয়, আরো একুশটি ঘর পজিশন দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফজলুর রহমান বলেন এবং তার পজিশন নেওয়ার কাগজপত্র সবার উদ্দেশ্য দেখান , সে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে দশ লক্ষ টাকা দিয়েছেন এই ঘর দুটির পজিশন নেওয়া বাবদ। প্রধান শিক্ষক ঘর তুলে না দিলে সে বার বার তাকে চাপ দিয়েও কোন কাজ হয়নি, বরং উল্টো তাকে মারমুখি হয়। যার ফলে সে নিজেই বাধ্য হয়েছে তার নিজ হাতে এই ঘর তুলতে। ফজলুর রহমান আরোও বলেন, সে একা নয় তার মতন জাহাঙ্গীর, মুকুল আরোও অনেকের নিকট থেকে দোকান বরাদ্দ দেবার নামে পজিশন বাবদ টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান বাবলু।
এদিকে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান বাবলু ‘র সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, সে একা নিজে একাজ করেনি। স্কুল কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক একাজ হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন ১৯১৮ সাল থেকে গোসাঁইবাড়ির এই এ এ উচ্চ বিদ্যালয় বেশ সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। এই স্কুল থেকেই অনেক গর্বিত মানুষের জন্ম হয়েছেন। স্কুলের লেখা পড়া খেলা ধুলার অনেক সুনাম রয়েছে। স্কুলের পুর্ব পার্শ্বের খেলার মাঠের পরিচিতি অনেক তবে, এই খেলার মাঠটি দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে আসছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় এ এ উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ নাম থাকবে মাঠ থাকবে না। এলাকার সাধারণ মানুষের আবেদন মাঠটির সঠিক সংরক্ষণ করা হোক।
ধুনট উপজেলার নির্বাহী অফিসার সন্জয় কুমার মহন্ত বলেন, মাঠের অবৈধ স্থাপনা আজকে কিছু উচ্ছেদ করা হলো, বাকি গুলো সঠিক তদন্ত করে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি আরোও বলেন ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশে খেলাধুলা অপরিহার্য এবং খেলাধূলার মাঠ খুবই জরুরি।