শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

News Headline :
রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক এমপি ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ইসলামপুরে উৎসব মূখর পরিবেশে দৈনিক ইত্তেফাকের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রাজশাহীর পদ্মায় ধরা পড়লো ১১ কেজির বাঘাইড় রাজশাহী মহানগরীতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আ’লীগের সাবেক সভাপতিসহ গ্রেফতার ৯ নওগাঁর ১নং ভাঁরশো ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ১ আসামি গ্রেফতার রাজশাহীতে ফের বাস ও সিএনজি চালকের সংঘর্ষ আহত ২ রাজশাহীর পুঠিয়ায় ইটের মাপ কমিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাবনায় বালুবাহি ট্রলি চাঁপায় পুলিশ সদস্য নিহত ১জন আহত আটক ২জন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সমিতি’র নতুন কমিটি গঠন

নওগাঁয় ধর্ষণের বিচার হলো ৫১ হাজার টাকায়,তা ও গেল মেম্বারের পকেটে

Reading Time: 2 minutes

নুরুজ্জামান লিটন, নওগাঁঃ
নওগাঁ জেলার মান্দার কশব ইউনিয়ন পরিষদে সালিসের মাধ্যমে ধর্ষণের একটি ঘটনা নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ধর্ষণের শিকার নারীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ হাজার টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের কক্ষে এ সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।সালিসের আয়োজন করেন কশব ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল জব্বার। এতে সভাপতিত্ব করেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। তবে জরিমানার টাকা এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি ভুক্তভোগী নারীর হাতে। সমুদয় টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার।
স্থানীয়রা জানান, মামুনুল ইসলাম মামনুর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত রবিবার মান্দা থানায় এজাহার দেন ভুক্তভোগী এক নারী। মামলাটির প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মান্দা থানার উপপরিদর্শক অর্জুন কুমার। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিযুক্ত যুবকের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন মহলে তদবির শুরু করে। এখন পর্যন্ত রেকর্ডভুক্ত করা হয়নি ভুক্তভোগী নারীর মামলাটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপরতা শুরু করেন স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল জব্বার। তার নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজের পর কশব ইউনিয়ন পরিষদে সালিসের আয়োজন করা হয়। সালিসে সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যানে ফজলুর রহমান। বৈঠকে আরেক ইউপি সদস্য বুলবুল হোসেন ওরফে বুলু মেম্বার, মোজাফফর মাস্টার, আব্দুর রহিম, আব্দুস সালামসহ অভিযুক্ত যুবকের পক্ষে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ধর্ষণের শিকার নারীরকে ৫১ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
ভুক্তভোগী নারী বলেন,স্থানীয় মেম্বার ও মাতবরদের চাপের মুখে সালিসে উপস্থিত হয়েছিলাম। বৈঠকে আমার কথা আমলে না নিয়ে সবাই মামুনুলের পক্ষে কথা বলেছেন। চেয়ারম্যান জরিমানার যে রায় দিয়েছেন সেই টাকাও আমাকে দেওয়া হয়নি। আমাকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। আমি ন্যায়বিচার দাবি করছি। ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন,বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সালিস করা হয়েছে। সালিসে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা মেম্বার আব্দুল জব্বারের কাছে জমা আছে। ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য সবাই চাপাচাপি করেছে। তাই চেয়ারম্যানকে নিয়ে নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে।’ জরিমানার টাকা তার হেফাজতে রয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, এসংক্রান্ত একটি এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য উপ-পরিদর্শক অর্জুন কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সালিসের মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনা নিষ্পত্তি করা যায় কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, এটি সালিসযোগ্য বিষয় নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com