শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা থেকে:
একাডেমি অফ ফাইন আর্টসে। একটি অংকন আলোকচিত্র ও হস্তশিল্পের প্রদর্শনী। চারুকলা ফাইন আর্টস এর উদ্যোগে এবং বিথীকার পরিচালনায়, এবং রাজদীপ দাসের সহযোগিতায়, একাডেমি অফ ফাইন আর্টস এ শুরু হয়েছে,, অঙ্কন আলোকচিত্র ও হস্ত শিল্পের প্রদর্শনী,,, এই প্রদর্শনী ৬ই জুন থেকে 12 ই জুন পর্যন্ত চলবে এবং প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত চিত্রপ্রেমী ও দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে। এই প্রদর্শনীতে ছোট থেকে বড় শিল্পী মিলে প্রায় 62 থেকে 65 জন অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের ছবি প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে, এই ৬২ জন শিল্পীর মধ্যে সুদূর বাংলাদেশ থেকে দুজন শিল্পীর ছবিও এই প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে, । এই ৬২ জনের মধ্যে কয়েক জন হলেন রাজদীপ দাস চারুকলার কর্ণধার,, রিয়া দে চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতা ব্যানার্জি চিত্রশিল্পী, শুক্লা রায় চিত্রশিল্পী ,আভাস চক্রবর্তী চিত্রশিল্পী, অম্বিকা মন্ডল চিত্রশিল্পী ,মঞ্জুশা দত্ত চিত্রশিল্পী, বিপাশা সিনহা চিত্রশিল্পী, শুভদীপ কনুই চিত্রশিল্পী, সত্যজিৎ দাস চিত্রশিল্পী, জ্যোতির্ময়ী দে কনুই চিত্রশিল্পী, শুভম দাস চিত্রশিল্পী, এছাড়া অন্যান্য শিল্পীরা এবং তাহাদের অভিভাবকরা প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন, প্রায় 200 থেকে আড়াইশো ছবি প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত, শুধু তাই নয়, রং তুলির কাজ ছাড়াও মহিলাদের হাতের কাজ ,হস্তশিল্পের কাজ এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছে, চারুকলা ফাইন আর্টস, ছোট , বড় সমস্ত শিল্পীদের নিয়ে এগিয়ে চলার পথ দেখান এবং তাদের উৎসাহিত করছেন, তারা বলেন বড়রা তো সব জায়গায় সুযোগ পায়। কিন্তু এইভাবে যদি ছোটদের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারি সবাইকে নিয়ে চলতে পারি, তাহলে তারাও বড় দের মত একদিন বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবে, তাই আমরা 2019 সাল থেকে আস্তে আস্তে ছোট বড় শিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী করার চেষ্টা করছি ,,,, আর সবচাইতে বিশেষত্ব হলো মহিলাদের উৎসাহিত করা এবং তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এই ভাবে প্রদর্শনীকে সাজিয়ে তোলা এটাই চারুকলার একটা বিশেষত্ব, এর সাথে সাথে মহিলা শিল্পীরাও জানালেন, আমরা আনন্দিত, আমাদের পাশে চারুকলা সহযোগিতা করার জন্য ,যদি চারুকলা পাশে না থাকতো, তাহলে হয়তো আমরা এই সুযোগ পেতাম না। কেউ বলছেন আমরা তিন বছর ধরে চারুকলার সাথে যুক্ত হয়ে আমরা অনেক টা পথ এগিয়ে এসেছি, আবার কেউ বলছেন আমি দু বছর চারুকলার মিশে অনেক কিছু পেলাম,। এবং আমরা গর্ব অনুভব করি যে প্রদর্শনীতে আমাদের ছবি বিক্রি হবে ,এটা কখনো ভাবি নি, এটা আমাদের কাছে বড় পাওনা, আমরা সব সময় চারুকলা ও বিথীকার পাশে আছি থাকবো তাল হয়তো আমরা আগামী দিনে আরো অনেক কিছু তৈরি করে মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবো। তার সাথে সাথে চারুকলার কর্ণধার রাজদীপ দাস জানালেন , অনলাইন ও ফেসবুকের মধ্য দিয়ে যে দুইজন বাংলাদেশী শিল্পী আমাদের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন আমরা কৃতজ্ঞ এবং তাদের কয়েকটি ছবি আমরা প্রদর্শিত করতে পেরে।