শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ মাহমুদ উদ্দিন,জুড়ী:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৬৮জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৩ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। তন্মধ্যে ৪১ জন গণিত বিষয়ে ফেল করেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে বইছে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অন্যান্য বিষয় পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকলেও গণিত পরীক্ষায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল, তাই এ বিষয়ে ফেল করেছে ৪১ জন শিক্ষার্থী।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জুড়ী উপজেলার কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয় ২৫ জন। পাসের হার ৩৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ওই বিদ্যালয়ে ৪৩ জন ফেল করেছে, তার মধ্যে গণিত বিষয়ে ৪১জন। জুড়ী উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের চেয়ে এ প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট সবচেয়ে খারাপ। নিয়মিত পাঠদানের পরও রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে বইছে ক্ষোভ ও সমালোচনা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কিছু সংখ্যক শিক্ষকদের অবহেলা, উদাসীনতা ও কোচিং বাণিজ্যকে দায়ী করছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ভালো ভাবে পাঠদান না দিয়ে কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাই অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে গণিতে রেকর্ড পরিমাণ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক মস্তফা উদ্দিন সুনু বলেন, বিদ্যালয়ে ঠিকমতো ক্লাস হয় না, দৈনিক ৪/৫ বিষয় ক্লাস হয়। শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে আসে। এতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। এজন্যই এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের চেয়ে ফেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক মোঃ মানিক মিয়া বলেন, করোনা থাকাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের পাঠদান না হওয়ার কারণে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা দুর্বল রয়েছে। গত ২ বছর অর্ধবিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এবারে সব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদের ধারণা ছিল এবারে প্রশ্নপত্র সহজ করা হবে। সে জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় কাউকে আটকানো হয়নি, সবাইকে পাস দেয়া হয়েছিল। সেজন্যই রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। কোচিং বাণিজ্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, শ্রেণিকক্ষে আমরা সকল শিক্ষার্থীদের সমান লেখাপড়ায় সহযোগিতা করি। কেউ যদি শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করে, তাহলে কোচিংয়ের কোন প্রয়োজন হয় না।গণিত বিষয়ে ৪১ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, গণিত পরীক্ষায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
জুড়ী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আলা উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, হয়তো গণিত বিষয়ে ভালো পড়ানো হয়নি। শিক্ষকরা যদি আন্তরিক ভাবে পাঠদান দিতেন, তাহলে এতো শিক্ষার্থী ফেল হতো না।