মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

কয়রায় শেখ রাসেল প্রতিবন্ধী স্কুল জাতীয়করণের দাবি

Reading Time: < 1 minute

মো: ইকবাল হোসেন, কয়রা, খুলনা:
উপজেলা সদরে অবস্থিত শেখ রাসেল প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কয়রাবাসী। স্কুলটি ২০১৫ সাল হতে স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা ও মানসিক বিকাশে কাজ করছে। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক এস.এম বাহারুল ইসলাম সহ ১৮জন শিক্ষক ৩০৯ শিক্ষার্থীকে অদ্যাবধি বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষাদান করছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে রয়েছে ১০টি ভ্যান গাড়ি ও কর্মচারী।  সরজমিনে ঘুরে জানা যায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে স্কুলটি। স্কুলে অটিজম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে নিরলস পরিশ্রম করছে শিক্ষকরা। শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচী, মূল্যালয়ন ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা, খেলাধুলা, বিনোদনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিশুদের পাঠদান চলমান রয়েছে। স্কুলটি পরিচালনার ব্যয় বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সংস্থা বহন করলেও তা খুবই সীমিত। সহকারী শিক্ষকরা বলেন, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বহুমুখী উদ্যোগ থেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিনা বেতনে কাজ করছি। স্কুলটি জাতীয়করণ ও শিক্ষকরা বেতন ভাতা পেলে আমরা মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্তি পেতাম। ওই স্কুলের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মা মিনারা খাতুন বলেন, প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে আমার সন্তানকে কোনো স্কুলে ভর্তি করতে পারেনি৷ আগে বাড়িতে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকতো। এ স্কুলটি হওয়াতে অনেক সুবিধা হয়েছে। অন্যসব শিশুদের সাথে সে স্কুলে আসছে, ছবি আঁকছে, খেলাধুলা করছে। এখন সে অনেক স্বাভাবিক। এসব শিশুদের মানসিকভাবে গড়ে তুলতে এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিকল্প নেই। বিদ্যালয়টির  প্রতিষ্ঠাতা প্রধান  শিক্ষক এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, আর্থিক অসচ্ছলতার পরেও স্কুল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখনো শিক্ষকরা বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষকতা করছে। প্রতি মাসে বিদ্যালয়ের যাবতীয় খরচ আমরা নিজেরাই বহন করছি। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেঞ্চ, টেবিল, ক্রীড়াসামগ্রী, গান বাজনার সরঞ্জাম, স্কুল ভ্যান সহ প্রয়োজনীয় নানা আসবাবপত্র ও জিনিসপত্রের সংকট রয়েছে। তবুও সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে আমরা সকলের সহযোগিতায় স্কুলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা ভালো উদ্যোগ। আমরা স্কুলটি জাতীয় করণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন পাঠিয়েছি। উপরের সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে করা বিদ্যালয়টিতে আমরা সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com