শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা:
২২শে জানুয়ারী সোমবার দুপুর তিনটায় হাজরা মোড় থেকে পার্ক সার্কাস মোড় পর্যন্ত এই সংহতি যাত্রার মিছিল শুরু হয়। সকাল ১২ টা থেকে তোড়জোড় পড়ে যায় পুলিশ অফিসারদের হাজরা মোড়ে, সারা এলাকা প্রশাসনের অফিসারেরা রাস্তার বিভিন্ন দিকে মতায়ন হতে দেখা যায় এবং মাঝে মাঝেই তাহারা এলাকা পরিদর্শন করে যাহাতে কোনো রকম দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য চেকিং করতে থাকেন, এবং যেখান থেকে এই মিছিল শুরু হবে সেই মঞ্চের কাছে ব্যারিকেড করে দেন, দুপুর একটা নাগাদ একে একই মন্ত্রীরা ও বিধায়করা আসতে থাকেন যাহাদের উপর এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল উপস্থিত হন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বিধায়ক দেবাশীষ কুমার।, প্রথম থেকেই তাহারা তৃণমূল কর্মীদের বারবার মাইকিং এর ঘোষণা করতে থাকেন এবং বলতে থাকেন, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মতো যেন তারা মিছিল নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়ায়, আড়াইটা নাগাদ আসেন সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক ব্যানার্জী এসেই যে সকল মন্ত্রী ও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন, তাদেরকে এই মিছিলের সমস্ত পরামর্শ দেন। মিছিলকে শান্তি-শৃঙ্খলা ভাবে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য, এবং মিছিল কে কিভাবে সাজাবেন তারও পরামর্শ দেন,মিছিল শুরুর অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রী ও বিধায়করা এবং কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায়, সাংসদ শান্তনু সেন, মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী জাভেদ আক্তার, কাউন্সিলর জুই বিশ্বাস, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, স্বরূপ বিশ্বাস, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়িকা নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, কাউন্সিলর রাজীব দাস, সঞ্জীব বকশী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রী,সংসদ এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষ ও কাউন্সিলরগণেরা উপস্থিত ছিলেন এবং মিছিলে পা মেলান।
মিছিলের প্রথম ভাগই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, মাঝে শাড়িতে ছিলেন বিভিন্ন বিধায়িকা থেকে শুরু করে মহিলা কাউন্সিলর গন এবং শেষের সারিতে ছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি সহ সুজিত বসু থেকে শুরু করে শান্তনু সেন পর্যন্ত, এরপর সমস্ত তৃণমূল কর্মী ও সদস্যরা মিছিলে পা মেলান এবং পার্ক সার্কাস পর্যন্ত তারা জয়ধ্বনি দিতে থাকেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও অভিষেক ব্যানার্জী। তারা জানান আমরা তোমার পাশে আছি। এখানে কোন বিজেপির ঠাঁই নাই।
মিছিল হাজরা মোড় থেকে যত এগিয়ে যায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মন্দির, মসজিদে ও গুরুদুয়ারায় ঢুকে পরিদর্শন করেন এবং শুভেচ্ছা জানান।
মিছিলের একটাই, হেড লাইন তুলে ধরেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, তাই ধর্মকে বিভেদ করে মানুষের মনে বিভেদ সৃষ্টি করা চলবে না। ধর্ম তার নিজস্ব সত্তা এবং উৎসব সবারই এক সবারই অধিকার। এই মিছিলের মধ্য দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন আগামী ভোটের জয়ের বার্তা, আজকের মিছিলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজারেরও বেশি তৃণমূল কর্মী অংশগ্রহণ করেন এবং পায়ে পা মেলা,পার্কসার্কাসে মিছিল শেষ হলে। পার্কসার্কাস মাঠের ভেতরে একটি সভা স্থল তৈরি করা হয়, সেখানে সকল মন্ত্রীরা এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা বক্তব্য রাখেন, বক্তব্যে একটি কথাই বার বার উঠে আসে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং অভিষেক ব্যানার্জীর নামে।
তাহারা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক ব্যানার্জী সমস্ত ধর্মকে এক ছাতের তলায় রাখার চেষ্টা করেন, এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন,কখনো বিভেদ সৃষ্টি করেন না, কিন্তু আরেক সম্প্রদায়ের মানুষ বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভেদ ঘটিয়ে, দেশকে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করছে, জাতি দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটা কখনোই হতে দেব না। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক ব্যানার্জীর নির্দেশ মতো কাজ করব।, মুখ্যমন্ত্রী সব সময় সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন এবং সকলের মনে আনন্দ দেওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান ও মেলা করে থাকেন, এ সাথে সাথে একটা কথা বলেন যে মন্দির এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয় না সেই রাম মন্দির কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিরোধীদল আজ করছেন। আর চতুর্দিকে আজকে অনুষ্ঠান করছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উপর তিনি বিভিন্নভাবে আক্রমণ নামিয়ে আনছেন এমনকি বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। সেটা আমরা হতে দেব না। তাই আমাদের আজকের এই সংহতি যাত্রা থেকে শুরু হবে ২০২৪ এর ভোটের পরিকল্পনা, আমাদের কর্মীরা আরও মনোবল দিয়ে এগিয়ে যাবে।