রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শাহরিয়ার মিল্টন ,শেরপুর :
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শিক্ষার্থী তায়েবাতুন জিদনী (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) দুপুরে সেঁজুতি সাংস্কৃতি একাডেমি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জুন ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি এলাকার নাসা টাওয়ারের হোষ্টেলে রাতের আঁধারে তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রুমের ভিতরে জিদনিকে জানালার পাশে খাটের উপরে হাঁটু পেছন দিকে ভাঁজ করা বসা অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। জানালার গ্রিলের সাথে একটি ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু জানালার গ্রিলের সাথে কিভাবে আত্মহত্যা করা যায়। এটা রহস্যজনক। নিহত জিদনির মা শিক্ষিকা হাসনা হেনা বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে যে কেও আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমি চাই দ্রæত ময়না তদন্তের প্রতিবেদনটা দেওয়া হোক। সেটা দেখে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো। আমি চাইনা জিদনির মতো আর কারও মায়ের বুক খালি হোক। এসময় বক্তব্য রাখেন নবরুপী ক্রিড়া সাংস্কৃতিক গোষ্টির সভাপতি শ্যামল দত্ত, তারাগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম, সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের প্রিন্সিপাল মুনীরজ্জামান, প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ী সভাপতি আবদুল মান্নান সোহেল, সহ সভাপতি মাহফুজুর রহমান সোহাগ, আতিকুর রহমান, অবনী অনিমেষ, জিদনির শশুড় আবুল হোসেন, শাশুড়ি রাহিমা হুসাইন প্রমূখ। তায়েবাতুন জিদনি শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের শিক্ষিকা হাসনা হেনা ও জয়নাল আবেদিনের সন্তান। জিদনির স্বামী ইয়াসির আরাফাত চার মাস যাবত ফ্রান্সে বসবাস করছেন। জিদনি ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজে সমাজ কর্ম বিভাগে ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি মসজিদ রোড এলাকার নাসা টাওয়ারের হোষ্টেলে থেকে পড়ালেখা করতেন। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক বলেন, এটি ময়মনসিংহের ঘটনা। এ ব্যাপারে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন সেই প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে কারও প্রবনচনায় এই হত্যা হয়েছে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।