শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এম এ লিতু, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের ছোট বড় অনেকগুলো বাজার রয়েছে। এই বাজারগুলোতে স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিনিয়ত নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য ক্রয় ও বিক্রয় করে থাকেন। এসব বাজারে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনে মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম নীতি। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী অস্বাস্থ্যকর, নোংরা, ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করে ভোক্তা সাধারণের নিকট বিক্রি করলেও মাঠ পর্যায়ে তা দেখার কেউ নেই। এসব দেখভালের জন্য সরকার কালীগঞ্জ উপজেলায় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে মোসাম্মৎ শাহনাজ আক্তার নামের দায়িত্বশীল একজনকে নিয়োগ দিলেও তিনি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করেন না বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন, দৈনিক রিপোর্ট প্রদান, খাদ্য নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবে প্রেরণ, নমুনা ভেজাল হলে আদালতে মামলা দায়ের,পচা, বাসি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য জব্দ এবং ধ্বংস করা,সংক্রমণ রোগের কারণ অনুসন্ধানসহ কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান কোনটাই যথাযথভাবে করেন না কালিগঞ্জ উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর। যে কারণে এই উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যহানীকর খাদ্যপণ্যের সয়লাব হয়ে গেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যও দিনে দিনে বেড়েছে বহুগুণে। সরজমিনে উপজেলার বারোবাজার, চাপরাইল বাজার, কোলা ও কালা বাজার, ত্রিলোচনপুর বাজার,দামোদরপুর বাজার, দুলালমুন্দিয়া বাজার, বগেরগাছি বাজার ঘুরে খোজ খবর নিয়ে জানা যায়,এইসব বাজারের হোটেলগুলোতে অত্যন্ত নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে তা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে।এ সব বাজারগুলোতে কেমিক্যাল মেশানো পানি স্প্রে করে পাকানো হচ্ছে কলা, বেকারি গুলোতে বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করে বিক্রি করা হচ্ছে।কোলা ইউনিয়ন এর বেশ কয়েকটি গ্রামে ছোট বড় কারখানাগুলোতে দুধের পরিবর্তে পাউডার দিয়ে ছানা তৈরি করা হচ্ছে ,ওই ভেজাল ছানা দিয়েই আবার তৈরি হচ্ছে মিষ্টি ও ঘি। প্রতিটি বাজারে রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার (স্ট্রিট ফুড) বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট বড় এসব বাজার গুলোতে নিম্নমানের আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে । ফলে উপজেলার সাধারণ জনগণ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলোতে অস্বাস্থ্যকর মানহীন এইসব খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন রমরমাভাবে চললেও দায়িত্বশীল স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না।সরকারি এই কর্মকর্তা নিজ অফিসে বসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে প্রতি মাসে বেতন তুললেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কোনো খোজ রাখেন না বলে জানা যায়। কালিগঞ্জ উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোছাঃ শাহানাজ আক্তারের সাথে দায়িত্বের অবহেলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিএইচও স্যার সাংবাদিকদের তথ্য দিতে ও কথা বলতে নিষেধ করেছেন।অফিসে বসে ঘুমানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,শরীর খারাপ থাকায় একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন,দায়িত্বে অবহেলা করা ঠিক নয়।অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে দেখে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এখনই বলে দিচ্ছি।