বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ :
বারও মরা খালে পরিণত নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার কোলঘেঁষে প্রবাহিত চাড়ালকাটা নদী।এক বছর আগে খনন করা হলেও নদীটি পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। নদী শুকিয়ে পানিশূন্য হয়ে পড়ায় সরকার ২০১৮-১৯ সালে খননের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু খননের বছর পেরুতে না পেরুতেই মরা খালে পরিণত হয়েছে এই নদী। বর্তমানে এই নদীর কোলে দুলছে বোরো ধানের আবাদ। নদী খননে সুফল বয়ে আনেনি নদী অববাহিকার সাধারণ মানুষের। অর্ধমৃত্যু নদীটি বিশ্বের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেলে কৃষিকাজে ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। এলাকাবাসি জানান, সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নদীটি অপরিকল্পিতভাবে খনন করায় রাষ্ট্রীয় অর্থ জলে ভেসে গেছে। সরকার নদী খননের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করলে এই নদী খননের প্রস্তাবনা দেয় সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ কিলোমিটার নদী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পূর্নখনন করা হয়। নদী খনন কাজ শুরু হলে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। কিন্তু খননের এক বছরের মধ্যে নদীটি মরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় হতাশা নেমে এসেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ড্রেজার মেশিন দিয়ে খননের পর নদীর উভয় পাড় সুরক্ষিত এবং লোক চলাচলের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও এসব কিছুই করা হয়নি।ফলে বর্ষা মৌসুমে নদীটি আবার বালি, মাটি দিয়ে ভরাট হয়ে যায়।উপজেলার বাহাগিলী ইউপি’র পাগলাটারী গ্রামের বাসিন্দা আছাদুল, ডাবলু জানান,নদী খননের সময় অনেক উঠতি ফসল নষ্ট করা হয়েছে। খননের পরও নদীর দু’পাড়ের স্তপ কৃত বালুর সয়লাবের কারণে অনেক জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে যেনতেনভাবে নদীটি খনন করলেও দু’পাড় ঠিক মত মজুতি করণ না করায় বছর না যেতে নদীটি মরা খালেপরিণত হয়েছে। পুটিমারী কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন আলী জানান, বাহে হামার নদী খুড়লেও যেমন না খুড়লেও তেমন। গত বছর নদী খুড়ে গেইছে এ বছরে যেমনকার নদী তেমন হয়া গেইছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জ সাবডিভিশনাল প্রকৌশলী মোফাখ্খারুল ইসলাম জানান, চাড়ালকাটা নদী এলাকায় বালু মিশ্রিতে যা কারণে গত বছর বন্যায় নদী কিছু অংশ ধ্বসে গেলেও নদী মুল ট্যানেল ঠিক আছে বর্ষায় পানি প্রবাহে কোন সমস্যা হবে না। তবে নদীটি আবার ও খনন করা হবে।