শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবি আদায়ে ৫ আগষ্ট কুষ্টিয়ায় পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এরপর থেকেই শুরু হয় মামলা। এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া মডেল থানা ও আদালতে ৬টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক প্যানেল মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন। এরআগে ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা সরে দাঁড়ালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় বেশ কিছু লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এরপর রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্র ও বিএনপি/জামায়াত ও ইসলামি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর হামলা ও মামলার ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় শহরের কবুতর চত্বরে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বহু ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। তারপরও থেমে নেই চাঁদাবাজী,মারামারি,হত্যার হুমকি ও নিরিহ মানুষকে মামলার হুমকি। চাঁদাবাজির ধরুন পাল্টে গেছে এখন এখন মামলার ভয় দেখিয়ে চলছে চাঁদাবাজি নিরীহ ব্যক্তিদেরকে দেওয়া হচ্ছে মামলা । অপরাধীর বিরুদ্ধে ১০০ টি মামলা হোক তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন মামলায় না থাকে অযথা হয়রানি না হয় এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ আমরা কামনা করছি। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাংবাদিকদের কেও হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সুতরাং আমি প্রশাসনকে অনুরোধ জানাবো, আপনারা যত্রতত্র মামলা দিতে আসলে আমলে নিবেননা।এজাহারে দাখিলকৃত সকল ব্যক্তির নাম ঠিকানা পর্যবেক্ষণ করে আপনাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে তারপরে সিদ্ধান্ত নিবেন। কোন রাজনৈতিক দলের দলীয় পাওয়ার বা তদবিরে কোন মামলা যেনো না হয়। অসংখ্য অসহায় ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে,বাদি চিনেনা বিবাদী কে,বিবাদীও চিনেনা বাদীকে, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে বাদী বানিয়ে মামলা করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান যে, মুঠোফোনের মাধ্যমে অপরিচিত মানুষ জানায় এই তোর অনেক ছবি আছে আওয়ামী লীগের লোকদের সাথে,বাঁচতে চাইলে ৫লাখ টাকা দে,নয়তো ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার তালিকায় তোর নামও দিয়ে দিবো। এভাবেই বিভিন্ন মামলার বাদীকে ম্যানেজ করে একটি মহল মূল আসামীর এজাহারের মধ্যে অসহায় নির্দোষ কিছু মানুষের নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সর্বপোরি কুচক্রী মহলের এমন কারসাজির কারণে সমালোচনার তীর গিয়েছে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির দিকে, এরই প্রতিবাদ জানিয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্যানেল মেয়র মহিদুল চৌধুরী মিলনের নেতৃত্বে হাজার হাজার জনতার সমাগমে এই প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।