শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, র্যাব ১২ সিপিসি ১:
র্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া এবং র্যাব-৪ সিপিসি-১ মিরপুর এর যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মোঃ সেন্টু আলী @ বাটুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সহ ০২ জন গ্রেফতার। গত ২১ জুন ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময় দৌলতপুর উপজেলার বাগোয়ান টেনশন মোড়স্থ ভোরের আলো ক্লাবের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর বাগোয়ান গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন এর ছেলে মোঃ সেন্টু আলী @ বাটুল (৩৯)কে তাহার একই গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দৌলতপুর উপজেলার ২নং মথুরাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে পরপর তিনবার নির্বাচিত মেম্বার মোঃ হাসিবুর রহমান এর সাথে উপরে বর্ণিত মৃত মোঃ সেন্টু আলী @ বাটুল (৩৯) ইউপি সদস্য (মেম্বার) পদে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে মৃত মোঃ সেন্টু আলী @ বাটুল প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মোঃ হাসিবুর রহমান মেম্বার এর কাছে হেরে যাওয়ার পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচনের পর থেকে বর্ণিত হত্যাকান্ডের পূর্ব পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মারামারি/কোপাকুপির ঘটনায় উভয় পক্ষের একাধিক মামলা রুজু হয়। যাহা বর্তমানে থানা ও বিজ্ঞ আদালতে মুলতবি আছে। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ হাসিবুর রহমান মেম্বার তাহার আপন ভাইদের সহ আত্মিয়-স্বজন/দলীয় লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র সহ হত্যাকান্ডের পূর্বে বাগোয়ান টেনশন মোড় এলাকায় উপস্থিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে।
২নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহত মোঃ সেন্টু আলী @ বাটুল (৩৯) এর পিতা-বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ঘটনার পর ২৩ জুন ২০২৩ ইং তারিখ প্রতিপক্ষ মোঃ হাসিবুর রহমানের বড় ভাই মোঃ মিজানুর রহমান ও তাহার ভাইদের সহ আত্মীয়-স্বজন/দলীয় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে ওসি দৌলতপুর থানা বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দৌলতপুর থানার মামলা নং-৭৩, তারিখ-২৩/০৬/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/৩৪/১১৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। প্রকাশ্যে সন্ধ্যার পূর্বে মানুষ চলাচলের রাস্তার উপর সংঘটিত হত্যাকান্ডের বিষয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে সমস্ত জেলা তথা দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রæতিতে, মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২’র আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার পাশর্^বর্র্তী পাবনা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের গোয়েন্দা নজরদারি রাখে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি আরও একজন আসামি সহ ঢাকা শহরে আত্মগোপনে আছে বলে জানা যায়। অবশেষে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২ এর সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্প এবং র্যাব-৪ এর সিপিসি-১ মিরপুর ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল গত ০৬ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর ১৫:৩০ ঘটিকায় পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা এলাকা হতে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী মোঃ মিজানুর রহমান(৫৩) এবং তার ভাই ২নং আসামি মোঃ হাসিবুর রহমান (৪৭), উভয় পিতা-মৃত রওশন জালাল, সাং-বাগোয়ান টেনশন মোড়, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৃত মোঃ সেন্টু আলী @ বাটুল (৩৯) হত্যাকান্ডে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহনের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। স্থানীয় জনগণ অনেকেই গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সরাসরি হত্যাকান্ডে অংশগ্রহন করতে দেখেছে বলে জানা গেছে। আসামিগণ এলাকায় দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হিসেবে পরিচিত।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
স্বাক্ষরিত-মোহাম্মদ ইলিয়াস খান,স্কোয়াড্রন লীডার উপ-অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ