রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৯৬ পর্যন্ত সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা কেবল লুটপাটের রাজনীতি করে গেছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় বসে শুধু নিজে খাব, নিজে ভালো থাকব সেটা তো না। ক্ষমতায় থাকা মানে হচ্ছে মানুষের সেবা করার একটা সুযোগ, মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর ‘উপহার’ দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘আশ্রয়ন প্রকল্পের’ দ্বিতীয় ধাপে সাড়ে ৫৩ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের সেবক হিসেবে যখনই প্রথম সরকার গঠন করি, আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম, যে সেবক হিসেবেই নিজেকে আমরা তৈরি করেছি এবং সেভাবেই সাহায্য করে যাচ্ছি, কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা তো লুটপাটের রাজনীতি করে গেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য তাদের কোনো চিন্তাই ছিল না। এই সীমিত আর্থিক সম্পদ নিয়েই আমরা কিন্তু এই ছিন্নমূল মানুষ, গৃহহারা মানুষ, ভূমিহীন মানুষ, তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি পুরো বাংলাদেশ ঘুরেছি, গ্রাম-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে। কোথায় কী সমস্যা জানি। আওয়ামী লীগ অধিকার নিয়ে কাজ করে। জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের মাধ্যমে ভূমিহীনদের খাসজমি দেওয়া এবং তাদের জন্য গৃহনির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন, সেই থেকে যাত্রা শুরু।
ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে স্থায়ী ঠিকানা করে দিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে তহবিল চালু করা হয়। পরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এগিয়ে আসেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দলিল ও চাবি তুলে দেওয়ার পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।