সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর:
পাহাড়ঘেরা শেরপুরের নালিতাবাড়ীর উপজেলার
পোড়াগাঁও ইউনিয়নের ভারত সীমান্তঘেঁষা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর খলচান্দা কোচ
আদিবাসী পল্লী যাওয়ার রাস্তার বেহাল দশার কারনে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই
রাস্তার যাতায়াতকারীরা। দুর্ভোগ লাগবে ওই রাস্তা পাকাকরণের দাবি
জানিয়েছেন গ্রামবাসী।জানা গেছে, উপজেলার বারমারী খ্রিস্টান মিশন মোড় থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার উত্তরে আন্ধারুপাড়া মৌজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত পাহাড়ি
গোপে খলচান্দা গ্রামে বাস করে ৫০টি পরিবারের ৩ শতাধিক মানুষ। পাশের আশ্রয়
কেন্দ্রের গুচ্ছগ্রামে বাস করে ৩৫ পরিবারের ২ শতাধিক মানুষ। একই রাস্তার
আন্ধারুপাড়া গ্রামে বাস করে ৪০ পরিবারের ৩ শতাধিক মানুষ। এই রাস্তা দিয়ে
প্রতিদিনি প্রায় সহ¯্রাধিক মানুষ চলাচল করে। এমনকি গ্রামের মানুষ তাদের
উৎপাদিত ফসল নিয়ে ও নিত্যপণ্যের বাজার করতে পাশের বারমারী বাজারে যাতায়াত করেন। কোচপল্লীর শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করার জন্য স্কুলে যায়। এছাড়া
সম্প্রতি খলচান্দা গ্রামে বর্ডার হাট স্থাপনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
এই সড়ক দিয়ে বালুভর্তি ট্রাক, লড়ি, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ প্রতিদিন শতশত যানবাহন চালাচল করে। পাহাড়ি ওই কাঁচা সড়কে শুকনো মৌসুমে বালু ও বর্ষা মৌসুমে কাঁদাপানি জমে থাকে। এতে যাতায়াতে কষ্ট পোহাতে হয় তাদের। বর্তমানে কোচপল্লী যাওয়ার প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক এখন খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।তাই বর্ডার হাট স্থাপনের আগে ওই সড়ক পাকা না করা হলে চলাচলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে স্থানীয়রা জানান।খলচান্দা গ্রামের রমেশ কোচ, পরিমল কোচ, অনিল কোচ, চন্ডী কোচ, রঞ্জিত কোচ
ও জুলফিকার আলী ভুট্রো জানান, খলচান্দা আন্ধারুপাড়া থেকে চলাচলের একমাত্র
রাস্তা দিয়ে পাশের চেল্লাখালী নদী থেকে উত্তোলিত অধিক ওজনের বালুবাহী
ট্রাক চলাচল করায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে শুকনো মৌসুমে বালু ও বর্ষা
মৌসুমে সৃষ্ট গর্তে পানি জমে থাকে। এসময় যানবাহন রেখে পায়ে হেটে যাওয়া
ছাড়া কোন উপায় থাকে না। তারা আরো জানান এই গ্রামের কেউ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বেহাল রাস্তার কারনে দ্রুত হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই ওই দুই কিলোমিটার রাস্তা দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন,
খলচান্দা কোচপল্লী যাওয়ার রাস্তাটি পাকা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে
প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই দ্রুত কাজ করা হবে।