admin
- ১ মার্চ, ২০২৩ / ৯০ Time View
Reading Time: 2 minutes
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ২নং পৌর ওয়ার্ডের সবুজবাগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জমির মালিকের পাহাড়াদারের ইন্ধনে বসতবাড়িতে হামলা চলিয়ে ভাংচুর-লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় উল্টো হামলাকারীর পক্ষ থেকে ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার পরদিন Tajammul Riyad নামে ফেসবুক আইডি হতে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত একজনসহ ঘরের মালিকের নামে প্রকাশ্য দিবালোকে ধর্ষণ ও মারধরের অপবাদমূলক একটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোস্ট করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে জমির মালিকের থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও তার ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ওই গ্রামের জমির মালিক অনিল কান্তি চাকমা জেলার দিঘীনালা উপজেলার বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা সোবহান হাওলাদারের ছেলে মো. আব্দুল মালেককে তার জমিজমা দেখাশোনা করার জন্য পাহাড়ের উপরে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়। আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন থেকে সেখানে বসবাস করে আসছে। ঘরের মালিক মো. মাইনউদ্দীন বলেন, গত ২৭ফেব্রুয়ারী’২৩ প্রকাশ্য দিবালোকে বিকেল ৪টার দিকে আব্দুল মালেক তার স্ত্রী পরিচয়দানকারী এক মহিলাকে লেলিয়ে দিয়ে আকস্মিকভাবে অনিল চাকমার নিকট হতে ক্রয়সূত্রে মালিক হওয়া আমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করে ও ওয়ারড্রপে রাখা নগদ টাকা নিয়ে যায়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারি মহিলা জাহেদা বেগম উপস্থিত লোকজনকে মারার জন্য তেড়ে আসে ও ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে।
এই পরিস্থিতিতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আইনগত সহযোগিতা চেয়ে ঘটনার বিষয়ে অবগত করেছি। যে ফেসবুক আইডি হতে আমার নামে মিথ্যা মানহানিকর পোস্ট করা হয়েছে। আমি মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমার সম্মানহানী করার চেষ্টারত সকল জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব। ঘটনার বিষয়ে জমির মালিক অনিল কান্তি চাকমা জানান, আমি আবদুল মালেককে আমার জায়গা দেখাশোনার জন্য একটি ঘর তুলে দেই। সেখানে সে বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করে আব্দুল মালেক ওই জমির দাবিদার সেজে তা দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ঘটনা আঁচ করতে পেরে বেশ কিছু দিন আগে তাকে আমার ঘর ছেড়ে চলে যেতে বললে সে আমাকে প্রণ নাশের হুমকি দেয়, ফলে আমি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধে মোছা. জাহেদা আক্তার(২৫) চট্রগ্রামের বাঁশখালী থানার বালীগাঁও এলাকার বাসিন্দা বর্তমান স্বামী পরিচয়দানকারী আবদুল মালেকের সুবাদে ইতিপূর্বে সবুজবাগ এলাকার চুন্ন জমাদারের ছেলে নয়নের সাথে কাবিননামা মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এছাড়াও জানা গেছে উত্তর বঙ্গে তার আরো একটি বিবাহ হয়েছিল ওই সংসারে ২টি সন্তানও রয়েছে। তাছাড়া আব্দুল মালেক এলাকার আরো ৩/৪জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ফলে এলাকাবাসী মামলা হামলার ভয়ে সর্বদা আতংকে রয়েছে। এ দুর্ধর্ষ মহিলা ও আবদুল মালেকের ব্যাপোরোয়া আচরণ থেকে নিশ্তার চান এলাকাবাসী। ঘটনার বিষয়ে ওই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মো. মাসুমের নিকট জানতে চাইলে তিনি কল রিসিভ করেন নি। এব্যাপারে সবুজবাগ ২নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মানিক পাটোয়ারী বলেন, মাইনউদ্দীন নামে একজনের বাড়ি-ঘর ভাংচুরের কথা শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি, আইনের আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি।