শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার পিলখানা হত্যাকান্ড দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিয়েছে-রাকিন আহমেদ পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই গ্রুপের প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি শেরপুর জেলা আ’ লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন কুমার পাল আটক পাবনায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী মহানগরীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার পুনাক ও রাজশাহীর ক্ষদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন পাবনায় সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছুরিকাঘাতে ৩জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

খাগড়াছড়িতে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটছে একটি চক্র

Reading Time: 2 minutes

আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়িতে পরিবেশ আইন অমান্য করেই চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পাহাড় খেকোরা। অবাধে চলছে পাহাড় কাটা। রাতের আঁধারে পাহাড় কাটছে একটি চক্র। প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। শুষ্ক মৌসুম এলেই খাগড়াছড়িতে শুরু হয় পাহাড় কাটার মহোৎসব। এ কারণে প্রতি বর্ষায় শুরু হয় পাহাড় ধস। সরেজমিনে মঙ্গলবার(৩ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা সদরের সবুজবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, একটি চক্রের ইন্ধনে প্রকাশ্যে বিশালকার পাহাড় কেটে  ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আমিনা বেগম, জাহাঙ্গীর, জাহানারা, মোজাম্মেলসহ অন্ততঃ ১০/১২টি পরিবার।বর্ষা মৌসুমে ফের পাহাড় ধসে প্রাণহানির পাশাপাশি মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কায় স্থানীয়রা। প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহাণির পরও পাহাড়খেকোরা তান্ডব চালাচ্ছে খাগড়াছড়ি শহরের সবুজবাগ, রসুলপুর, কুমিল্লাটিলা, শালবাগান,গামারীঢালা এলাকায়। তাছাড়া রামগড়ের পাতাছড়া কালাবাড়ীতে সম্প্রতি দেখা গেছে,  বিশাল পাহাড় কেটে পোল্ট্রি ফার্মের কার্যক্রম শুরু করতে প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে প্রভাবশালীরা। জেলা সদরের প্রতিটি উপজেলায় একই চিত্র প্রতিয়মান হচ্ছে, ফলে আবারো প্রাণহানির শঙ্কায় স্থানীয়রা। প্রশাসনের নিরবতায় ক্ষুব্ধ তারা। কয়েক বছর ধরে খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও পাহাড় কাটা বন্ধ হয়নি। বিনা বাঁধায় পাহাড় খেকোরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে প্রতি রাতে চলে পাহাড় কাটা। সারা রাত ধরে চলে মাটি পরিবহন। পাহাড় কাটার  এ ধারাহিকতা রোধ করা না গেলে, অচিরেই খাগড়াছড়িতেও রাঙ্গামাটির পরিনতির আশংকা করছেন সচেতন মহল। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ জুনের রাতে টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টি আর বজ্রপাতে রাঙ্গামাটিতে ঘটে যায় স্মরণকালের পাহাড় ধসের ঘটনা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দিনটি ফিরে এলে রাঙ্গামাটিবাসীর মনে দেখা দেয় আতঙ্কের সেই ভয়াল স্মৃতি। পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছিলেন নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১২০জন। এর মধ্যে শহরের মানিকছড়িতে একটি সেনা ক্যাম্পের নিচে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের উপর ধসে পড়া মাটি অপসারণ করতে গিয়ে পুনরায় পাহাড় ধসের মাটি চাপা পড়ে নিহত হন ওই ক্যাম্পের দুই কর্মকর্তাসহ ৫সেনা সদস্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণে বর্ষায় পার্বত্য জেলায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে। প্রশাসনিকভাবে পাহাড় কাটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দেদারছে পাহাড় কাটা চলছে। অবিলম্বে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করা না গেলে ভয়াবহ পরিবেশ ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড় কাটার প্রতিযোগিতায় উদ্বিগ্ন পরিবেশবাদীরাও। এ অশুভ প্রতিযোগিতা বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ চান তারা। তবে প্রশাসন বলছে, পাহাড় কাটা বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বন্ধ হোক পাহাড় ধস। থামুক মৃত্যুর মিছিল। এমন প্রত্যাশা খাগড়াছড়িবাসীর। এব্যাপারে, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জেসমিন আক্তারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com