শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মো: ইকবাল হোসেন, কয়রা খুলনা:
খুলনার কয়রায় গৃহপালিত গবাদিপশু মাঠে- ঘাটে, রাস্তায় অবাধ বিচরণ করছে। মালিকপক্ষের উদাসীনতায় গবাদিপশুর জন্যে উপজেলার সাথে জেলার শহরের ব্যস্ততম সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাফেরা ও যানচলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কের দু’পাশে লাগানো সরকারি বেসরকারি চারাগাছগুলোও খেয়ে ফেলছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান এবং মালিকদের সতর্কও করেছে। তবু থামেনি গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে মহিষ, গরু ছাগল ভেড়া সহ গবাদিপশু ও হাস মুরগির হরহামেশাই চলাফেরা করছে। রাস্তা, দোকানের সামনে তারা দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় এবং যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে। এতে চলাচল ও ব্যবসা বিঘ্নিত হয়। গবাদিপশুর জন্য সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। দ: বেদকাশি, উ: বেদকাশি, কয়রা সদর, বাগালি, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর ও আমাদী ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কগুলোতে একই অবস্থা দেখা যায়। পথচারী ও যানবাহন মালিকদের অভিযোগ, গবাদিপশুর খাদ্য খরচ বাঁচাতে মালিকেরা দিনে সেগুলো ছেড়ে দেয়। শত শত গরু, ছাগল, ভেড়া সড়কের পাশের দোকান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঠে চরে বেড়ায়। দাঁড়িয়ে ও রাস্তায় শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাদের। এতে উপজেলার প্রধান সড়ক ও অন্যান্য সড়কে পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হয়। গবাদিপশুর কারণে যানবাহনের দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগ্রাম মোড়ের গরুর মালিক বলেন, জন্মের পর থেকে গরুগুলো এখানে ছেড়ে রাখা হয়। এখানে এ গরু হারিয়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে। বাড়িতে রাখলে গরুর খাবারের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়। তারা সড়কের পাশের ফেলে রাখা বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট খাবার খায়। তাই গবাদিপশুগুলো ছেড়ে দিয়ে থাকি। কালিকাপুর চৌকুনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে গরু দেখলে ভয় পাই। কিছুদিন আগে স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে একটি গরু গুঁতো দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে সে রাস্তায় গরু দেখলেই ভয়ে স্কুলে যায় না।’ কয়রা উপজেলার সিনিয়র আইনজীবী এড. আনিছুর রহমান এবং এড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গবাদিপশুর অবাধ বিচরণ শহরকে সবুজে রূপান্তরের উদ্যোগকে বাঁধাগ্রস্ত করছে। উপজেলার সড়ক বিভাগের লাগানো গাছের চারা খেয়ে ফেলছে এসব পশুর দল।’