শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক অধ্যাপকের গাড়ি পথরোধ করে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী অধ্যাপক মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী নগরীর তালাইমারী রুয়েট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে একজনকে অভিযুক্ত আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী অধ্যাপক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা (৫৩)। অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ মিনহাজ আবেদীন (৩৯)। বাবার মৃত তসলিম উদ্দিন এবং মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন রাতুল (২৭)। পিতা মোঃ মোশাররফ হোসেন। উভয়ের বাসা রাজশাহীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায়। এদিকে রাত ৯টার দিকে এ ঘটনার স্বাক্ষী মোঃ মামুনুর রশিদকে (৩৫) সাথে নিয়ে মতিহার থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী এ শিক্ষক। মামলার ইজহারে তিনি উল্লেখ করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মূল ফটকের বিপরীতে মিষ্টিবাড়ি হোটেলের সামনে মোঃ মিনহাজ আবেদীন ও মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন তাঁর গাড়ির সামনে এসে মোটরসাইকেল থামিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁকে গাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করে এবং গাড়ি থেকে নামার পর এলোপাতাড়ি মুখে ও বুকে কিল-ঘুষি মেরে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসময় তাদের পিছু নিলে তারা মোটরসাইকেল থামিয়ে আবারও গালিগালাজ করে। তাদের মোটরসাইকেলের নাম্বার দেখতে গেলে একজন পালিয়ে যায় এবং অপরজন আবারও মারধর শুরু করে। এমতাবস্থায় উপস্থিত মানুষের সহযোগিতায় সেখান থেকে রক্ষা পাই। অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার সময়ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, আমার সাথে কেন এমন করেছে আমি জানিনা। আমি প্রতিবাদ করতে অভিযুক্তদের গাড়ির পিছু নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আবার আমাকে মারধর করে। এ ঘটনার পিছনে আসলে কারা আছে, কোনো মৌলবাদী দল যুক্ত আছে কিনা সেটা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে। এখানে যারাই জড়িত থাকুক দেশের আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্ছ শাস্তি হবে এটাই আমার চাওয়া। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক (ওসি) শেখ মোঃ মোবারক পারভেজ বলেন, কাল রাতে ভুক্তভোগী এ আমার থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা রাতেই অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছি। এবং দ্বিতীয় জনকে আটক করতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কেন তারা এমন কর্মকান্ড করেছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।