শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার পিলখানা হত্যাকান্ড দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিয়েছে-রাকিন আহমেদ পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই গ্রুপের প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি শেরপুর জেলা আ’ লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন কুমার পাল আটক পাবনায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী মহানগরীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার পুনাক ও রাজশাহীর ক্ষদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন পাবনায় সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছুরিকাঘাতে ৩জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে মরুভূমির সাম্মাম

Reading Time: 2 minutes

শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :

শেরপুরের গারো পাহাড়ে এবার চাষ হচ্ছে মরুভূমি বা আরব দেশের ফল হিসেবে খ্যাত সাম্মাম বা রক মেলন ফল। গারো পাহাড় এলাকার এক তরুণ উদ্যোক্তা পরীক্ষামূলকভাবে এ ফল চাষে সফল হয়ে বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এরই মধ্যে আরব দেশের ফল চাষের খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষ তার ওই ফল বাগানে ভিড় করছেন এক নজরে দেখতে।
কুমড়া গাছের মতো লতানো গাছ। গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে গোল গোল ফল। প্রায় প্রতিটি গাছেই ভরপুর ফল ও ফুল। বাঁশের বাতা আর নেট ব্যাগ বা জালের ফাঁকে ফাঁকে পুরো ক্ষেত যেন ফলে ভরে রয়েছে। সাম্মাম ফল খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ। বহির্বিশ্বে এ ফলের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে এটির প্রচলন এখনও কম। এ ফলকে সৌদিতে সাম্মাম বলে, তবে বিভিন্ন দেশে এটি রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন ও হানি ডিউ নামেও পরিচিত। সাম্মামের দুটি জাত রয়েছে। একটি জাতের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরের অংশ লাল, আরেকটি জাতের বাইরের অংশ হলুদ এবং ভেতরের অংশ লাল। তবে খেতে দুই ধরনের ফলই খুব মিষ্টি ও রসালো।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতির উপজেলার নককুড়া ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম গোমরা। এ গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. আনোয়ার হোসেন প্রথমে ইউটিউবে দেখেন সাম্মাম ফল খুবই উচ্চমূল্যের একটি ফল। তাই তিনি এ ফল চাষে পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে চলতি মাসের ফেব্রæয়ারি মাসে তার পৈতৃক ১০ শতক জমিতে ওই বীজ রোপণ করেন। মাত্র ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু করে। এরপর পরাগায়ণের আরও ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে ফল এবং সর্বশেষ এপ্রিল মাসের শেষ দিকে সে ফল পাকতে শুরু করেছে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের মধ্যে এ ফল খাওয়া ও বাজারে বিক্রি করার উপযোগী হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ। আনোয়ারের এ ফল চাষে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। ফল বিক্রি করার টার্গেট রয়েছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। প্রতিটি ফল প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের হয়েছে। পাইকারি বাজারমূল্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতিটা ফল প্রায় দু-তিনশ টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে তার ধারণা।এ বিষয়ে ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, মরুভূমির এ ফল চাষ স¤প্রতি বাংলাদেশে শুরু হলেও শেরপুরে এটি প্রথম। তবে ফলন দেখে মনে করা হচ্ছে উচ্চ মূল্যের এ সাম্মাম চাষ গারো পাহাড়ের পতিত জমিতে চাষাবাদে লাভবান ও আগ্রহ সৃষ্টি করবে স্থানীয় চাষিদের।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com