বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
আঃ খালেক মন্ডল,গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পৃথক দুটি ঘটনায় বিষধর সাপের কামড়ে দুই সন্তানের জননী ও এক শিক্ষক গ্যাস টেবলেট খেয়ে মৃত্যু হয়েছে।জানাগেছে, রবিবার (৬ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী রাশেদা বেগম( ৩২) সাপের কামড়ে মুত্যূ হয়।স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে রাশেদা প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ফেরার সময় তাঁর পায়ে বিষধর সাপ দংশন করে। বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ইঁদুর-চিকা কামড় দিয়েছে মনে করে বিছানায় শুয়ে পড়ে প্রায় একঘন্টা পর বিষের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে গেলে রাশেদা চিৎকার শুরু করে। পরে স্বজনরা তাকে দ্রুত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাকে সাপে কামড় দিয়েছে বলে নিশ্চিত করে চিকিৎসকরা। তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কিছুক্ষণ পর রাশেদার মৃত্যু হয়।অপরদিকে,গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কাজি রাশেদুর রহমান লিপু নামের এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলেছে গ্যাস ট্যাবেলট খেয়ে আত্নহত্যা আবার কেউ কেউ বলেছে অন্য কথা।রবিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঘটনা স্থলে যায় একদল পুলিশ।কাজি রাশেদুর রহমান লিপু কাজিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কাজিপাড়া গ্রামের মৃত কাজি মোয়াজ্জেম হোসেনের পুত্র।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কাজি রাশেদুর রহমান লিপুর পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় চাকরি দেওয়ার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তার বড় ভাই মতলু কাজী এবং রাব্বি নামের ব্যক্তির সঙ্গে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে তারা রাশেদুর রহমান লিপু মাস্টারকে মারপিট করে আহত করে।
এরই মধ্যে রোববার বিকেলে নিজ বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় স্বজনরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শজিমে কলেজে হাসপাতালে রেফার্ট করেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে লিপু মারা যায়। আহত এবং অপমানিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদুর রহমান আত্ন মর্যাদা রক্ষায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে মারা যান বলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করা হবে।