শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক) এর আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান তারই বড় ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) আনোয়ার হোসেন। নৌকার জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানান তিনি। রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার নিজে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সাবেক জাবি’র উপাচার্য আনোয়ার হোসেন। উপাচার্য আনোয়ার হোসেন যে আসন থেকে মনোনয়ন পেতে ফরম নিয়েছেন, সে আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তারই ছোট ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক)। উপাচার্য আনোয়ার হোসেন ও ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল প্রয়াত কর্নেল তাহেরের ছোট ভাই। বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। উপাচার্য আনোয়ার হোসেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য। উপাচার্য আনোয়ার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ছিলেন। (২০১২-১৪) সাল পর্যন্ত তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মনোনয়ন ফরম বিক্রির দায়িত্বে থাকা রেমন্ড আরেং বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। দলীয় নেতাকর্মী সহ তিনি নিজেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।’ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক) এর ঘনিষ্টজনরা জানান, শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারণে এবার তিনি নৌকার মনোনয়ন চাইছেন না।
উপাচার্য আনোয়ার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য বেলাল এই আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ছে। সে কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। সে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমাদের এলাকার নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাদের ইচ্ছা আমি যেন এই আসনে নৌকার হাল ধরি। তাদের কথা এবং এলাকা ও দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এবার আমি প্রার্থী হয়েছি। এছাড়া ১/১১ সময়েও আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। যদিও আমি জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য কিন্তু ওই উপজেলায় জাসদ থেকে নির্বাচন করার মতো সাংগঠনিক অবস্থা নাই। তাই আমি মনে করছি, নৌকার মনোনয়ন পেলে এলাকার এবং দেশের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ পাব। পাশাপাশি আমার ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করতে পারবো।