শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর :
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় দারুত ত্বাকওয়া মহিলা মাদরাসার আবাসিক শাখা থেকে গত ১২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয় তিন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে(১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সুমন মিয়া জানান, ইসলামপুর উপজেলার সভূকুড়া এলাকার দারুত তাক্বওয়া মহিলা মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী গত রোববার ভোররাতে নিখোঁজ হয়েছিল। তাদের বয়স ৯ থেকে ১১ বছর। নিখোজের পরদিন মাদ্রাসার মোহতামিম শিক্ষার্থীরা পালিয়ে গেছে মর্মে থানায় জিডি করে। এ ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় বুধবার মনোয়ার হোসেন নামে একজন অভিভাবক মানব পাচার আইনে মামলা করলে পুলিশ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মো. আসাদুজ্জামানসহ ৪ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সুমন মিয়া জানান, কমলাপুর রেল স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়। তারা ৩ জন নিজেরাই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে ট্রেনে ঢাকায় পৌঁছে। কমলাপুর স্টেশনে তাদের পায় রাজা নামের এক রিকশা চালক। রিকশা চালক রাজা তাদের তিন জনকে মান্ডা এলাকায় নিয়ে যায়। এরমধ্যে ২ জনকে একটি গার্মেন্টস এ কাজ নিয়ে দিয়েছে। পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আজ শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জানান, দারুত ত্বাকওয়া মহিলা মাদ্রাসার মোহতামিম মো. আসাদুজ্জামানের স্ত্রীর ১ হাজার টাকা হারিয়ে গেলে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা ওই তিন শিক্ষার্থীকে সন্দেহ করেন। তাদের টাকা ফেরত দিতে বলেন। অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও সন্দেহ করায় ওই তিন শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়।
তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের পর শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে জামালপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশি তৎপরতায় সিসি ফুটেজের মাধ্যমে ঢাকার মুগদা এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন ইসলামপুরের পোড়ার চর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার, সভুকড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা আক্তার ও দক্ষিণ সভুকুড়া গ্রামের সুরুজ্জামানের মেয়ে সুর্য্যবানু।