বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

জামালপুরের সকালে ১শ রাতে ১শ ৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি

Reading Time: 2 minutes

শরিফ মিয়া, জামালপুর :
সকালেও বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ। আর দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন জামালপুরের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আর সাধারণ ক্রেতারা বলছেন বিএনপি’র ডাকা তিনদিনের অবরোধকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এ সিন্ডিকেট করছেন।
জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জামালপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বিকালের পর থেকেই এক লাফে ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যার পর জেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ইসলামপুর উপজেলার বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, যা দিনের বেলায় ১০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি আমদানি করা (এলসি) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, যা দিনের বেলায় ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক দিন আগেও ৫৫-৬০ টাকা ছিল। এদিকে পেঁয়াজ ও আলুর পাশাপাশি ডিম ও কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন বলে দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।
ইসলামপুর ফকির পাড়া এলাকা থেকে ইসলামপুর কাঁচাবাজারে পণ্য কিনতে আসা লিটন মিয়া বলেন, দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। সরবরাহে কোনো সংকট নেই। পাশাপাশি এমন অবস্থা হয়নি যে একদিনে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বাড়বে। সব বিক্রেতাদের কারসাজি। একই বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সালাম বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি। যে কারণে বেশি দামে এনে আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ক্রেতারা বাজারে এসে আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি করছেন।
পেঁয়াজ ব্যবসায়িক খোকা বলেন সরকার পলিব্যাগ তুলে দিয়েছে কিন্তু ক্রেতারা যখন বাজার করতে আসেন বাজারের সাথে আমাদের ১/২ টি করে পলিব্যাগ দিতে হয়।
ধর্মকুড়া বাজারের পণ্য কিনতে আসা শহিজল মিয়া বলেন, হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে এ অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার সিন্ডিকেট করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং না থাকায় তারা এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন।
দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ইসলামপুর বাজারের আড়ত ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, গতকাল রবিবার ৮০ টাকায় দরে পেঁয়াজ ক্রয় করেছি। হঠাৎ করেই আজ দুপুর থেকেই ১২০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি। পরিবহন খরচসহ ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। এখন আমরা কি করবো। এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে জামালপুরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com