শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
এম এ লিতু ,ঝিনাইদহ:
ইতিহাস অনুুযায়ী চিনের বিখ্যাত থানশান শহরকে মৃৎশিল্পের শহর বলা হয় ।কারন এ শহরেই প্রথম মৃৎশিল্পের জন্ম হয়েছিল । এ শহরের ইতিহাস ৬০০ বছরের পুরানো যা ৫০০ টির বেশি শীল্পকর্মের সাক্ষী দেয় ।মৃৎ অর্থ মৃত্তিকা বা মাটি আর শিল্প বলতে সৃষ্টিশীলতাকে বোঝানে হয়েছে।যার কারনে মাটির এ শিল্পকে একসাথে মৃৎশিল্প বলা হয় ।খ্রিষ্টীয় ১৩ শতকে সাং রাজ বংশের সময় চিনে তৈরী হতো মাটির তৈরী তৈজস পত্র ও শো পিস।সেলডন নামে পরিচিতি পাওয়া এসব পন্যের চাহিদা ব্যাপক হওয়ার কারনে চিনারা এসকল পন্য এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী শুরু করে ।
আমাদের এদেশে এ শিল্পের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে ।পোড়ামাটির নানাবিধ কাজ পুতুল ,খেলনা,প্রতিমা ,প্রতিকৃতি ,টপসহ নানা জিনিস আজো কুমার শালায় তৈরী হয়ে ক্রেতাদের চাহিদা পুরন করছে ।পরিবর্তিত অবস্থায় নিজেদের কাজের পরিধি পরিবর্তন না করায় মৃৎশিল্পীরা ক্ষতির মুখে পড়ছে। খোজ নিয়ে এবং অনুসন্ধান করে দেখা যায়,নকশায় নতুনত্বের অভাব ,সনাতনী রঙের ব্যবহার ,সনাতনী পদ্ধতী অনুসরন ও প্রচারের অভাবে এ শিল্প আলো থেকে অন্ধকারে এসে দড়িয়েছে ।তত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী প্লষ্টিক,এ্যালোমিনিয়াম ,মেলামাইন ও স্টিলের তৈরী আসবাবপত্রের কারনে বাজারে টিকতে পারছে না মাটির তৈরী আসবাবপত্র।মৃৎশিল্পের মন্দাভাব থাকায় এ শিল্পের সাথে জড়িতদের চলছে দুর্দিন ।বাপ দাদার এ পেশা ছেড়ে অনেকে এখন ঝুকছে অন্য পেশার দিকে ।আর এখনো যারা এ পেশায় আছে তাদের অধিকাংশই কষ্টে দিন পার করছে ।মৃৎশিল্পীদের ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান বলেন ,মৃৎশিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারে আমরা আন্তরিক,এ শিল্পের বিকাশে সময়পোযগী সহযোগীতা করা হবে ।