বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর চাঞ্চল্যকর অটোরিক্স্রা ছিনতাই করে চালক আরব আলীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে রাখার সঙ্গে জড়িত মূল হত্যাকারী ৩ জন এবং উদ্ধারকৃত মালামাল কেনাবেচাঁয় জড়িত আরও ৪ জনসহ মোট ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে শেরপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম এক প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাকান্ডের বিবরণ, ছিনতাই ও খুনের সঙ্গে জড়িতদের আটক করার ঘটনা বর্ণনা করেন। আটককৃতদের মূল হত্যাকারী ৩ জনের মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের শাহ আলীর ছেলে শামীম মিয়া ওরফে হেদা (২৫), জুলগাঁও কোয়ারি রোড গ্রামের রজব আলীর ছেলে হামিদ ওরফে সোজা (২৪) এবং বনগাঁও চকপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে \েসোহেল রানা (২৫)।এছাড়া ছিনতাইকৃত অটোরিক্সাসহ অন্যান্য মালামাল কেনাবেচাঁর সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলার পৌরসভার নবীনগর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫), ঝিনাইগাতী উপজেলার জোলগাঁও কোয়ারি রোড গ্রামের জালাল আহমেদের ছেলে আবেদ আলী ওরফে ফকির (৩৭), শেরপুর পৌরসভার ঢাকলহাটি মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান (২২) এবং নাগপাড়া মহল্লার হাসমত আলীর ছেলে ফরহাদ আলীকে (২২) আটক করা হয়েছে।পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ভাড়ার উদ্দেশে ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আরব আলী (২১) ব্যাটারিচালিত তার নিজ অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়। পরবর্তীতে তিনি আর বাড়ি ফিরে না গেলে স্বজনরা তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ ঘটনার একদিন পর সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্তবর্তী সড়কের রাংটিয়া দেওয়ানপাড়াস্থ একটি খালে আরব আলীর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। বিষয়টি পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর মর্গে পাঠায়।এদিকে, ওই দিন নিহত অটোচালকের মা ছামেদা খাতুন বাদী হয়ে ঝিনাগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার ব্যাপক তদন্ত ও অনুসন্ধানে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ৩ জনের মধ্যে একজনকে ঢাকা থেকে আটক করে। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদেরকে অটো ছিনতাই ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে ধারালো ছুরিকাঘাত করে পেটের নাড়িভুরি বের করে ওই স্থানে মরদেহ ফেলে রেখে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। এছাড়া ছিনতাইকৃত অটোরিক্সাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িত আরও ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।ঘতকরা এক সময় এলাকায় হাঁসমুরগি চুরি করতো। এক পর্যায়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চুরির সঙ্গে জড়িত হয়ে পরে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ওই অটোরিক্সা ছিনতাই করতে গিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। নিহত অটোচালক আরব আলী হত্যাকারী শামীমের খালাতো ভাই। তাই ছিনতাইকারীকে চিনে ফেলার কারণে এ হত্যাকান্ড হতে পারে বলে প্রেস ব্রিফিং এ জানান পুলিশ সুপার। এই ঘটনায় ছিনতাই ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদেরকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সুপার জানান।