শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল :
টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও’র) হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলেন ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। ২৮জুলাই বুধবার বিকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন দক্ষিণ বোয়ালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন বিয়ের আয়োজন স্থগিত করে বর ও কনে পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্টিফিকেট সহকারি খন্দকার মোকাদ্দেস আলী জানান, উপজেলার স্থানীয় একটি মাদরাসার ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সাথে ঘাটাইল উপজেলার রামপুর গ্রামের হাছান আলীর ছেলে আজিজুল খানের বিয়ের আয়োজন করা হয়। সংবাদ পেয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন বোয়ালী গ্রামে মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ের আয়োজন স্থগিত করেন। কঠোর লকডাউনের সময় বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন লঙ্ঘনের দায়ে বর পক্ষকে ৩০ হাজার টাকা এবং কনে পক্ষকে ২০ হাজার মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। টাঙ্গাইল জেলায় বাল্য বিবাহ সংগঠিত জরিপে ১ম স্থানে রয়েছে মধুপুর উপজেলা। তবে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন মধুপুরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তিনি মধুপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই বাল্য বিবাহ অনেকাংশেই কমে গেছে। অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে মেয়েদের অভিভাবকগনকে তিনি বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে অল্প বয়সে বিয়ে হলে সেই সংসার কোন দিনও আলোর মুখের সন্ধান পাবেনা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ে দিলে সেই মেয়ের জীবনও থাকে ঝুঁকি মধ্যে। দিন বা রাত যখনই তিনি জানতে পারেন কোথাও বাল্যবিবাহ সংগঠিত হচ্ছে সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হয়ে তা বন্ধ করে উভয় পক্ষকে জরিমানাসহ বিয়ে বন্ধ করে জনমনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।