শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ডিমের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা বড় সমস্যা- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪ উদযাপনের আজদ্বিতীয় দিন ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লালন মেলা হতে চুরি হওয়া ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ন্যায় বিচার পেলে আওয়ামী লীগের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে-নওগাঁ জামায়াত আমির রাবি’তে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে বিএনপি‘র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ পাবনার ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসীদের গুলি ল্যাংড়া বিপু গুলিবিদ্ধ পাবনায় স্বপনের অফিস ভাংচুর করলেন শিমুল সমর্থক হামলা-পাল্টা হামলা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

দরপত্র আহ্বান না করেই কেটে ফেলা হলো হাসপাতাল চত্বরের ৫ গাছ

Reading Time: 2 minutes

রিপন কান্তি গুণ,নেত্রকোনা:
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের চত্বরে থাকা পাঁচটি গাছ কোন দরপত্র আহ্ববান ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শ্যামল কুমার পাল ওই গাছগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে কেটেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি দরপত্র আহ্ববান করে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছে।নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের স্থায়ী কোন ক্যাম্পাস না থাকার কারণে গত চার বছর ধরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের ভেতরে স্টাফ কোয়ার্টারের কয়েকটি ভবনে অস্থায়ীভাবে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই হাসপাতালের চত্বরে থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের (৪টি মেহগনি) ও (১টি রেন্টি) গাছ কোনো ধরনের দরপত্র আহ্ববান ছাড়াই কেটে ফেলা হয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে ক্যান্টিনের সামনে ও নির্মাণাধিন ক্যান্টিনের পাশে কাটা গাছের খণ্ড খণ্ড গুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে অসুবিধা হওয়ার কারণে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সরল বিশ্বাসে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। তবে গাছ কাটার বিষয়ে তিনি আমার সঙ্গে কোনরকম পরামর্শ নেননি।তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন কোনদিন না করার কারণে তিনি এসব নিয়মকানুন সম্পর্কে জানেননা। আমার সঙ্গে পরামর্শ করলে অবশ্যই দরপত্র করে গাছগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করতাম। এভাবে গাছ কাটা বা বিক্রি করা নিয়মবহির্ভূত। না বুঝে সরল বিশ্বাসে যেহেতু, তিনি এ কাজ করেছেন তাই আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না নিয়ে, এখন বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে দরপত্র আহ্বান করে কাটা গাছগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। তবে গাছগুলো মৃত ছিল বলে তিনি জানান।নেত্রকোনা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমাদেরকে অবগত করা হলে আমরা গাছগুলো দেখে যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করে থাকি। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে অবগত করেননি।এ বিষয়ে জানতে নেত্রকোনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শ্যামল কুমার পালের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিঞা জানান, হাসপাতালের অভ্যন্তরের গাছ কাটার প্রয়োজন হলে নিলাম বা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক গণপূর্ত বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করবেন। গণপূর্ত বিভাগ বন বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করবেন। এর পর সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়। কাটার অনুমোদন পাওয়ার পর টেন্ডার বা দরপত্রের যথাযথ মাধ্যম অবলম্বন করতে হবে এবং বিক্রিত অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে।তিনি আরও জানান, হাসপাতালের অভ্যন্তরে থাকা পাঁচটি গাছ কাটার ক্ষেত্রে এসব নীতিমালার তোয়াক্কা করেননি। হাসপাতালের অভ্যন্তরে যা কিছু আছে তার দায়দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়কের। যদি কেউ নীতিমালা লঙ্ঘন করে থাকে তাহলে, তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com