শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কামরুল হাসান,ময়মনসিংহ:
মেজর আখের মুহম্মদ জয় কোম্পানী অধিনায়ক সিপিএসসি, টিটিসি র্যাব -১৪ ময়মনসিংহ সাড়ে ১১ টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,৩ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ১২ টা ১০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি অভিযানিক চৌকস দল নেত্রকোনার পূর্বধলায় চাঞ্চল্যকর দর্জি ইদ্রিস আলী(৭০) হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক ৫ আসামীকে ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।এজাহার পর্যালোচনা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি-জমা ক্রয় সংক্রান্তে পূর্ব-বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন গত ২৭ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ সন্ধ্যা অনুমান ৭ টার সময় ভিকটিম ইদ্রিস আলী মসজিদ হতে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা গ্রেফতারকৃত ও অন্যান্য পলাতক আসামীগণ ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ভিকটিমের ডাক চিৎকারে তার স্ত্রী মোছা. ফরিদা আক্তার (৬৬) ও আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে,আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমকে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ভিকটিম ইদ্রিস আলীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় পূর্বধলা থানা এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ২৮ আগষ্ট ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে মোস্তাফিজ, আক্কাস, রিফাত, মনোয়ারা ও পপি সহ এজাহার নামীয় ০৯ জন আসামী সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩৫,ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামীগণ কৌশলে তাহাদের নিজ বাড়ি ত্যাগ করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পলাতক ছিল।এরই ধারাবাহিকতায়,ডিএমপি আসামিদের অবস্থান সনাক্তের মাধ্যমে ১। মো. মোস্তাফিজুর রহমান (২৩), পিতা – আক্কাস আলী, মাতা – মোছা. মনোয়ারা খাতুন, ২। মো. আক্কাস আলী (৬৫), পিতা – মৃত – বদির উদ্দিন, মাতা -মৃত মুমজান বিবি, ৩। মো. রিফাত (২০), পিতা -আক্কাস আলী, মাতা – মোছা. মনোয়ারা খাতুন, ৪। মোছা. মনোয়ারা খাতুন (৫৫),পিতা – মৃত আব্দুল হোসেন, মাতা – সুরুতুন্নেছা, ৫। মোছা. পপি আক্তার ( ২০) পিতা – আক্কাস আলী, মাতা – মোছা. মনোয়ারা খাতুন, সর্ব সাং- উত্তর কালডোয়ার, থানা – পূর্বধলা, জেলা- নেত্রকোণা এই ৫ আসামীকে গতরাত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।ধৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।