শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ জহুরুল ইসলাম,কুষ্টিয়া:
এক সপ্তাহ আগে ভ্যানটি পুড়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল দৌলতপুর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের প্রতিবন্ধী রিপন আলী। নতুন ভ্যান পেয়ে এখন তার মুখে এখন হাসি ফুটেছে। তবে ভ্যান পেয়ে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি প্রতিবন্ধী রিপন আলী। তিনি জানান, ‘নিজের বলতে আমার কিছু নাই। একটি ভ্যান ছিল তা দিয়ে অল্প কিছু রোজগার হতো।আগের ভ্যান পুড়ে যাওয়ার পর অনেক কষ্টে দিন গেছে।’দুই পা হাত অচল রিপন আলী হুইল চেয়ারে করে চালাফেরা করেন। আয় রোজগারের মাধ্যম বলতে তার একটি ভ্যানগাড়ি ছিল। তাও গত সপ্তাহে পুড়ে হয়ে যায়। পাঁচ সদস্যের পরিবারের উপার্জনক্ষম রিপন আলীর বসতভিটা ছাড়া এক শতাংশ জমিও নেই। অসহায় হয়ে পড়া এই ব্যক্তির জন্য শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এর সহায়তা নিয়ে ভ্যান কিনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন, শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কামরান আহমেদ রাজীব।সোমবার (২৩ই অক্টোবর) দুপুর দুই টার সময় উপজেলার ডাংমড়কা বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যান তুলে দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন, শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কামরান আহমেদ রাজীব, শহীদ শেখ রাসেল, দৌলতপুর উপজেলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজা উদ্দীন রিগ্যান, দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ফয়সাল আহমেদ পাভেল, রিফায়েতপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শেখ আরেফিন আহমেদ ফয়সাল, প্রাগপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এর সহায়তা নিয়ে প্রতিবন্ধী রিমন আলীর হাতে একটি নতুন ভ্যান গাড়ি তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে। প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি ভাল কাজের পর রয়েছে আনন্দ। যখন জানতে পেরেছি প্রতিবন্ধী রিপন আলীর একটি ভ্যানগাড়ি পুড়ে গিয়েছে, মানবেতর জীবন যাপন করছে তখন চেষ্টা করেছি তাকে সহযোগিতা করার এবং করেছি।তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তশালীদের অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে আমি আমার জায়গা থেকে যতটুকু পারি সমাজের অসহায় মানুষের মাঝে সহযোগীর হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।