বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার,ধুনট বগুড়া:
বগুড়া জেলা ধুনট উপজেলায় বাসর ঘরে স্বামীর সহযোগিতায়, তার দুলাভাই এক নববধূকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বাবা বাদি হয়ে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার প্রধান আসামী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভুরভুরিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালের দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নববধূ (১৮) ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে। একই এলাকায় সরোয়া পাচথুপি গ্রামের ফেরদৌস আলমের ছেলে মানষিক প্রতিবন্ধী ফরিদুল ইসলাম এর সাথে ২৩মার্চ মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ও-ই রাতেই নববধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় বর পক্ষ। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে নববধূ ও তার স্বামী প্রবেশ করে বাসর ঘরে। এ সময় ফরিদুলের ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন সরবতের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে নববধূকে পান করান। কিছুক্ষন পর বাসরঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে পরে নববধূ।
এরপর ফরিদুলের সহযোগিতায় আলমগীর হোসেন সকাল পর্যন্ত নববধূকে একাধিক বার ধর্ষণ করে। পরেরদিন ২৪ মার্চ সকাল ছয়টার দিকে নববধূ ঘুম থেকে উঠে দেখে আলমগীর হোসেন তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। আর তার স্বামী ফরিদুল ইসলাম একই ঘরে পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। নববধূ বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর শ্বাশুড়িকে জানালে তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। উল্টো নববধূকে তারা মারধর করে। এঅবস্থায় ২৫ মার্চ রাতে একই কৌশল অবলম্বন করে আলমগীর হোসেন। তখন টের পেয়ে নববধূ তার বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি খুলে বলেন। তখন বাবা নববধূকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে।
এঘটনায় নববধূর বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আলমগীর হোসেন, স্বামী ফরিদুল ইসলাম, শ্বশুর শ্বাশুড়ি কে আসামি করা হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্ধু বালা বলেন মামলা করার সাথে সাথে তড়িৎ গতিতে ধুনট থানা অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান এবং অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সেই সাথে নববধূকে শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে – তারপর তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।