শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
ফিরোজ হোসেন, বদলগাছী নওগাঁ :
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বৈকুন্ঠপুর বাজারে ব্যবসায়ী এবং নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ৭ টি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। (১১ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় উপজেলার বৈকন্ঠপুর বাজারে এ ডাকাতির এঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ঐ বাজারের মোট ৭ টি দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল এবং নগদ টাকা সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মাল লুট করে নিয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে এবং মালামাল ডাকাতি হওয়ায় বাজারের পাশে মাদকের ব্যবসাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। নৈশপ্রহরী সুত্রে জানা যায়, রাত ১২ টার পর বাজারের দোকানের বারেন্দায় বসে আছি। বাজারের দক্ষিণ দিক থেকে পাঁচ সাত জন লোক এসে একটি বাড়ি দেখে দিতে হবে এই বলে টেনে হেচড়ে বিলের মাঝে গিয়ে হাত পা গাছের সাথে বেঁধে রাখে। রাত ২ টায় বাজার হতে একটি পিকআপ গাড়ি আসে। ঐ গাড়ি করে ডাকাতি করে চলে যায় ডাকাতরা। পরে দাঁত দিয়ে হাতের দড়ি কেটে বাজারে এসে দেখি ৭টি দোকানের তালা ভেঙ্গে সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসি এসে দেখে ৫ টি মুদি দোকান এবং ১টি ফার্মেসী ও ১টি কীটনাশক দোকানের তালা ভেঙ্গে মালামাল ডাকাতি হয়েছে। কীটনাশক ব্যবসায়ী মো সুরুজ হোসেন বলেন, আমার মালামাল ও নগদ টাকা সহ মোট আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। পুলিশের কাছে একটাই দাবি দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোড় দাবি জানাই তবে বাজারে প্রকাশ্যে মাদক কেনা বেঁচা হয়। এদের ধরলেই মুল তথ্য বেরিয়ে আসবে। মুদি দোকানদার এবং নৈশপ্রহরী আব্দুল গফুর বলেন, দিনের বেলায় দোকানদারী করি এবং রাতের বেলায় বাজারে নাইট ডিউটি করি। রাত ১২ টার পর মোড়ে বসে আছি, চার পাঁচ জন ব্যক্তি পিছন দিক থেকে মুখ চেপে ধরে বিলে নিয়ে গিয়ে হাত পা গাছের সাথে বেঁধে ফেলে। পরে বাজারে এসে দেখি আমার সহ ৭ টি দোকানের মালামাল লুট হয়েছে।
আধাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল কবির পল্টন বলেন, এলাকায় এরকম ডাকাতি আগে হয়নি। তবে পুলিশ অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা করি। এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতিয়ার রহমান বলেন, পাঁচ থেকে সাতটি দোকান চুরী হয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছে। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।