শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
ডেক্স সংবাদ:
এক নারী আসামিকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় বরিশালের উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সকালে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের এ আদেশ জেলা পুলিশ সুপারকে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান।
তিনি জানান, বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওই ঘটনার তদন্তে এরইমধ্যে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক কারণে এরইমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২৬ জুন উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পর দিন বাসুদেবের ভাই বরুণ চক্রবর্তী শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে মিনতি বিশ্বাস ওরফে মিতু অধিকারীসহ (৩০) অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মিতু অধিকারীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। ৩০ জুন উজিরপুর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২ জুলাই মিতু অধিকারীকে আদালতে হাজির করার সময় তিনি খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। “এসময় আদালতের বিচারক মাহফুজুর রহমান খুঁড়িয়ে হাঁটার কারণ জানতে চাইলে মিতু পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন।” “এরপর বিচারক একজন নারী কনস্টেবল দিয়ে ওই নারী আসামিকে পরীক্ষা করে নির্যাতনের প্রমাণ পান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মিতু অধিকারীকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আদালত তার যথাযথ চিকিৎসা প্রদান এবং তাকে নির্যাতনের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ প্রদান করেন।আদালতের নির্দেশে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম; তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।