শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ মিজানর রহমান কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) :
প্রকৃতি মাতা যেন তার আপন খেয়ালে সুনিপুণ রঙ তুলির আঁচড়ে রূপ-সৌন্দর্যের বলিরেখায় রঙ্গ মঞ্চের রুপ দিয়েছে এই বঙ্গ জননীকে। আর বঙ্গজননীর ঋতুচক্রের পালাবদলে গ্রীষ্মের খড় রুদ্র তাপে সোনাইল ফুল পসরা সাজিয়েছে নীলফামারী কিশোরগঞ্জের সবুজেের কুঞ্জবনে।এতে প্রকৃতিপ্রেমীরা খুঁজে পেয়েছে তার আপন ঠিকানা। স্বর্ণালী রঙের বর্ণিলতায় প্রকৃতিতে রঙ ছড়াছে আপন মনে সোনাইল ফুল।
বৈশাখের শেষ খরতাপেও পথিকের নজর কাড়ছে এই ফুল। হাওয়ায় দুলতে থাকা হলুদ-সোনালি রঙের থোকা থোকা ফুল কিশোরীদের পুষ্পার্ঘ নিবেদনে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আবার ফুলের ফাঁকে দুলছে লম্বা ফল। এই ফলকে অনেকেই বাঁদর লাঠি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হলুদ বরণ সৌন্দর্যে মাতোয়ারা হয়ে তার সান্নিধ্য পেতে আসে প্রকৃতিপ্রেমীরা। এই ফুল নিজের রূপলাবণ্যর আভা ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো উপজেলায় । গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে প্রাণের সজীবতা নিয়ে ফোটে সোনাইল। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সোনাইল ফুল গাছ তার হলুদ-সোনালি রঙের সৌন্দর্য বিতরণ করেই অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। অযত্ন-অবহেলায় বেড়ে উঠলেও তার রূপে আকৃষ্ট হয়ে কাছে আসে সবাই, ক্যামেরায় বন্দি করে রাখে তার সোনা মাখা রঙ। গেল কয়েক বছর আগে পথে-প্রান্তরে হলুদ সোনাইল ফুলের আধিক্য ছিল প্রকৃতি জুড়ে।এখন এ ফুল নেই বললে চলে।তাই প্রকৃতিকে বাঁচার তাগিদে কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ,সোনাইল,জারুল জাতীয় গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করার দাবি উপজেলা বাসির। এতে প্রকৃতি ফিরে পাবে তার আপন রূপ, নির্মল বাতাসে সজীবতা ফিরে পাবে মানুষজন।আর কবি সাহিত্যিকগণও খুঁজে পাবে তার কাব্যিক ভাষা।মোদ্দাকথা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে অরন্যের বিকল্প নেই।