শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে জমে উঠেছে সাবেক উপমন্ত্রী বনাম বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে শক্তিশালী নির্বাচনী লড়াই।
জেলা সদর কেন্দ্রীক গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা নিয়ে লড়ছেন বর্তমান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা কমিটির এক নম্বর সদস্য।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাবেক উপমন্ত্রী ও বর্তমান জেলা কমিটিতে তালিকার তিন নম্বর সদস্য আরিফ খান জয়।
তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত এবং পরবর্তীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে মোকাবেলা করছেন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মাঝির সাথে। দু’জনের অবস্থান বিবেচনায় ভোটাররা বলছেন, আমাদের আসনটিতে চলছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ লড়াই। স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই আমি এবার প্রার্থী হয়েছি। বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন হাজার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে দলীয় সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে না পারে। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মহলে অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি।’তিনি আরো বলেন, ‘আমার নেতা শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের দু’জনেই বলে দিয়েছেন- আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের যেকোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবে। ফলে হাজার হাজার নেতাকর্মী আমার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। কারণ তারা জানেন, আমিও তো আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়ে উপমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেছি। এবার নৌকা প্রতীক পাইনি তবুও ভোটাররা জানেন, আমাকে ভোট দিলেও শেখ হাসিনার হাতই শক্তিশালী হবে।’
নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা, শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা। আমি শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসাবে, নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। যারা অন্য প্রতীক নিয়ে এসেছেন, তারাও বলেন যে তারা আওয়ামী লীগের। তারা আওয়ামী লীগের নয়, তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী।’তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোট দিলে আওয়ামী লীগের কোনো উপকারে আসবে না, শেখ হাসিনার উপকারে আসবে না। কারণ, সারা দেশে কত ভোট পড়েছে এবং শেখ হাসিনা কত ভোট পেয়েছেন, তা আন্তর্জাতিক মহলে হিসাব করা হয়। এই হিসাবের মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রধানমন্ত্রীর স্থান নির্ধারণ করে থাকে, দেশের অবস্থান নির্ণয় করে থাকে। আমাকে যে ভোট দেবেন, সারা দেশে নৌকা যে পরিমাণ ভোট পাবে, সব ভোটই হবে শেখ হাসিনার।’জেলা নির্বাচন অফিসারের দপ্তর সূত্র জানায়, নেত্রকোনা-২ আসনে মোট ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯১৭ জন ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে নেত্রকোনায় ৩ লক্ষ ১০ হাজার ১৬৭ ও বারহাট্টায় ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৫০ জন। আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট সাতজন প্রার্থী।